দ্বিমতের অগ্নিশিখা গভীর পৌরুষে সে-সময়ে
থামিয়ে দিয়েছিল সমাজের দূষিত রথ
অক্ষরের জন্ম হল সার্বজনীন ভোরের হাওয়ার মতো
প্রতিটি বাঙালি পেল ভাষার নিজস্ব অধিকার
ঘরে ঘরে শঙ্খধ্বনি, মানুষ পেল ঈশ্বরের চন্দ্রালোক,
অগাধ পান্ডিত্যের বিদ্যাসাগরকে।
ভারী কুয়াশায় ঢেকে থাকা অন্দরমহলে
তখন বর্ণপরিচয়ের অমোঘ বিস্তার
নারীজন্মের অসম্ভব নীরবতা ভেঙে
চেয়ে দেখল শিক্ষার ঘরোয়া আল্পনা চিত্তের আগল খুলেছে
দেখল, আঘাতে জর্জরিত সেই দেবমানুষটি কীভাবে
বুক দিয়ে রুখে দিলো অকাল বৈধব্যের দ্রুত মরণ।