একদল লাশের মাঝে বেরিয়েছিল হাতটা।
গোটা, রক্তমাখা কিন্তু আলাদা করে কোন শরীরের বোঝা যায়না।
কি জানি বোধহয় নিজেও বুঝতে পারছিলো না
ঠিক কোন শরীরের কোশ বিভাজনে তৈরী হয়েছিল।
আসলে সকালবেলা যখন মুখে খাবার তুলে দিছিলো
তখনও সে জানতো সে ঠিক কার হাত।
কিন্তু এই ভীড়ে সে জানেনা,
সে জানে সে এসেছিলো প্রতিবাদ জানাতে,
অপশাসনের, বোধহয় অপরাষ্ট্রের শোষণের।
কিন্তু যখন প্রশাসনের প্রতিভূরা গুঁড়িয়ে গেল তাদের;
তখন সে ভুলে গেলো সে কার হাত।
বাকি শরীর ছেড়ে উঠে থাকলো একটাই কথা বলার জন্য-
বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।
হয়তো উদ্বুদ্ধ করতে চেয়েছিলো বাকি হাতেদের
যারা তার সাথে বলবে, বন্ধু, বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।