তূণ – রূপুর সংসার জীবনের বয়স হল প্রায় দশ ৷ নিঃসন্তান তূণকে কখনোই রূপু দোষারোপ করে না ৷ কালিম্পংএ লুম্পা টি গার্ডেনের কটেজে দিন কাটে।সামনের সিঞ্চিলার শৃঙ্গ যেন গ্রাস করে তূণের একাকীত্ব।ভোরের আলো ফুটতেই জিপ রূপুকে অফিসে নিয়ে যায় ৷ ব্যস … দিনের এই সময়টুকু ব্যস্ত জীবন ৷ঘরে অন্যপাশে পড়ে থাকে নিঃসঙ্গতা ৷
সামনে ২৫ শে বৈশাখ।তূণের মনে পড়ে ,সারা বৈশাখ জুড়ে শান্তিনিকেতনে চলত কবি প্রণাম ৷সাদা লাল পাড়ের শাড়ি ,চুলে জুঁইয়ের মালা জড়৷নো একখানা লম্বা বিনুনী ৷ সে যেন হেঁটে চলে ভুবনডাঙার মেঠো পথ দিয়ে ৷ পাশে স্পষ্ট ছায়া ! কে?? কে?? হলুদ পাঞ্জাবি ,কাঁধে ঝোলা ব্যাগ সর্মপণ ৷ … ও গাইছে ” তুমি সুখ যদি নাহি পাও , যাও সুখের সন্ধানে যাও “….
লাল কাঁকুরে মেঠো পথের পাশে সেবার , ফাগুনে লাল পল৷শের মালায় দুজনে দুজনকে বরণ করেছিল ৷ বিকালে খোয়াইয়ের ধারে বসে শেষের কবিতা পড়ত ৷ সমর্পণ বলতো “শেষের কবিত৷ না পড়লে প্রেমকে নাকি ছোঁয়া যায় না৷” তূণ তখনও গভীরতা মাপে নি প্রেমের ৷,,,
দিন কাটে ৷ বেশ খানিক সময় পার হয় ৷ হঠাৎ অদৃশ্য সর্মপণ ৷ ফিরল যখন এক রাশ খুশি নিয়ে , হুম… তার কেতকীর সাথে …
তূণ সেদিন বুঝল,লাবণ্য হবার কি জ্বালা !
সময় হঠাৎ পিছনে ট৷নছে ৷ স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে ৷ সন্ধ্যে নামছে পাহাড়ের কোলঘেঁষে ৷ নিস্তব্ধতা ভেঙে চুরচুর ৷ তূণ রবিঠাকুরকে আঁকড়ে ধরেছে ,,” হে মোর দেবতা”..,
বাঁচার শক্তি ফিরছে ক্রমশঃ.. সুর হয়ে ৷