অনেকদিন পর আজ ভোর রাতে আমরা তিন বোন হাত ধরে হাঁটছিলাম। কতদিন পরে! রিুঙ্কু আর আমি টিঙ্কুর দুহাত ধরে দুপাশে হেঁটে যাচ্ছি ডোভার লেনে কথা বলতে বলতে, কত কথা!
টিঙ্কু বলছে, অপারেশনটা হয়ে গেল, এখন আর কোনো চিন্তা নেই। রিঙ্কু আমার দিকে তাকাল, আমি রিঙ্কুর দিকে।
টিঙ্কু বলছে, আমার তো আসলে আট তারিখে ফাঁড়া ছিল…
– বলিস নি কেন রে?
– বলিনি তোমায় ? আমার তো মনে হয় বলেছি । কি জানি ! মনে হয় বলব ভেবেছিলাম।
– কিসের ফাঁড়া রে?
– আমি আসলে দেখেছিলাম, আমাকে যম দড়ি দিয়ে বাঁধছে।
– বলিস নি কেন রে?
– কি জানি ! যাক্ গে এখন তো আমি ভাল আছি। আর তো কোনো চিন্তা নেই। পুপুন কোথায় গো?
– পুপুন দিল্লীতে আছে, চন্দনও, মা আছে ওদের সঙ্গে, পুপুনের পরীক্ষা তো তাই।
– ভালো করেছো। পুপুনের জন্যে আমার খুব চিন্তা। ওর লেখাপড়া শেষ না হওয়া অবধি আমাকে বেঁচে থাকতেই হবে। চন্দন ওকে ঠিক বোঝে না।
ডোভার লেন থেকে কিভাবে যেন বি পি পোদ্দার হাসপাতালে গেলাম, কেন গেলাম তা জানি না। আমাদের পেছনে অনেক ভিড়। সেই সব মানুষেরা সবাই এসেছে আমাদের সঙ্গে, যারা টিঙ্কুকে শ্মশানে নিয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের গেটে ভীষণ চিৎকার …