অণুগল্প ১ বৈশাখের বিশেষ সংখ্যায় সঞ্জীব সেন
মুক্তকথারা
নীলকন্ঠ পাখি উড়ে গেছে কৌলাসে বার্তা নিয়ে মা আসছেন, মহাদেবের অজানা নয়, তবুও হাসলেন, কদিনে যা অবস্থা হয়েছিল,
এই বয়সে এসে আমার অজানা নয় এমন কিছুই, তবু ভাবতে ভাল লাগে আর ভ্রান্তির ভিতর থাকে বিলাসিতা ।আজ বিজয়া, গঙ্গার ধারে বাড়ি হওয়ায় বিজয়ার দিন বিকেলে সেজে ওঠে, ঠাকুর বিসর্জন হয়, অনেক পরিচিত লোকের সাথে দেখা হয় তবে এসবের বাইরেও কিছু দেখার অভিপ্রায়ে চোখ খুঁজে চলে তবে কি আমার দোষ! , দশমী এসেছে, নিশ্চয় বিকালে বিসর্জন দেখতে আসবে , রাঙা মাথায় অন্যের হাত ধরে , বইতে পারবো না আমি সেই ছবি । তবু এক দমকা হাওয়ায় যদি মনে পরে যায় সেইসব মুক্তকথাদের “দশমী তুই দশমীর দিন জন্মেছিস বলে দশমী নাম, তাই না, বলবো না যাও! “আজ দশমীকে কেউ দেখিয়ে দিল ওই যে তোর বিপুল দা , তোর! তখনই একটি ট্রেনের সাইরেন, ট্রেন ঢুকছে, সরে দাঁড়ান, আর আমি দেখতে পেলাম মায়ের কাঠামোর নিচে চাপা পরে গেছি, আর ঢাকের শব্দে চাপা পরে গেছে আমার আর্তচিৎকার ।দশমী ছাড়া কেউ শোনেনি, দশমী আমায় জড়িয়ে ধরে পারের দিকে নিয়ে আসছে, আমি দশমীকে জড়িয়ে আছি, ঢাকের আওয়াজ কাঁসর শাখের শব্দে চাপা পরে যাচ্ছে ,কেউ দেখেনি গঙ্গার পারে শুয়ে আছে একজন, দশমী তাকে রেখে উঠে আসছে উপরে ।