মনের ভিতর অনবরত একটা কল চলতে থাকে।কয়েকটি চাকা, কিছু ক্ষুদ্র নাট-বল্টু, একটা গোলাকার পাখা, আরো ছোটো-খাটো কিছু যন্ত্রাংশ, সবগুলোর নাম জানি না। বাইরে থেকে কান পাতলে এর মৃদু আওয়াজ আন্দাজ করা যায়। পুরোনো সাইকেলটা দ্রুত চালিয়ে ঠোঙায় করে পাঁচটা মুরগির ডিম কিনে বাড়ি ফেরার সময় মনের-কল বলে, “আস্তে, আর একটু আস্তে।” কলের কথা মেনে নিই। সাইকেলের ব্রেক ধরি। জোরে বেল বাজাই। ঠোঙার মধ্যে ডিমগুলো নিজেদের সঙ্গে সংঘর্ষের হাত থেকে বেঁচে যায়। এভাবে প্রতিটি অসাবধানতায় মনের-কল আমাকে রক্ষা করে। দুর্দান্ত বৃষ্টির রাতে, আপাদমস্তক ঢাকা রহস্যময় লোকটিকে অন্ধকার রাস্তায় ছুটে যেতে দেখে তুমুল কৌতুহল হয়। আমার চোখের সামনে থেকে কাপড় সরিয়ে, দৃষ্টি তীব্র করি। কে লোকটা? কোথাও যেন দেখেছি। কল বলে, “উঁহু, এই মুহূর্তে তোমার নিজেরই উচিত সর্বাঙ্গ ঢেকে নেওয়া, যাতে ওই আপাদমস্তক ঢাকা রহস্যময় তোমাকেই না চিনতে পারে।”