• Uncategorized
  • 0

সাতে পাঁচে কবিতায় অনিরুদ্ধ সুব্রত 

কফিনের ধার ছুঁয়ে 

কফিন গুলোতে শেষ পেরেক কে বা কারা মেরেছিল
তোমাদের চোখের জল সে প্রশ্নে ওঠেনি ব্যাকুল হয়ে
কিংবা পূর্বাহ্নে অঝোর বৃষ্টি ঝরানো শেষে শুধু স্তব্ধতা
অপেক্ষা করে গেছ যুদ্ধক্লান্ত শরীরের শীতলতা ছোঁয়ার,
চারদিকে সংবাদের ঝোড়ো হাওয়ায় ধুলোর চিৎকার
তাকেও নি:শব্দে সয়ে গেছ, যেন উপনিষদীয় গহন আরণ্যক,
তাপসীর মতো সত্য গুনতে গুনতে ধ্যান মৌনে রত ছিলে।
কফিন গুলোতে ফুল জমে উঠেছিল, পতাকার রঙের উপর
জয় অথবা পরাজয়ের চেয়ে লড়াইয়ের আবিরে ঢাকা,
যোদ্ধা শুয়েছে নীরব, রমনীর কাছে প্রেম জীবাশ্ম আজ
থেমে যাওয়া অথবা নষ্ট বন্দুকের চুপের মতো ঠান্ডা বোধ,
এসে ঠেকেছে গভীর আগুনে ক্ষতের গায়ে, হাত ছুঁয়েছ পায়ে
আজ বীরত্বের গান ঈশান থেকে এসে তোমাদের ডুবিয়ে দেবে,
কিন্তু যে কৃপণ মোড়কে বিরহ বারুদ তুলে রেখে শুধু মুছে নেবে
বলো মেয়ে, সে বারুদ বাষ্প কি কোনও নির্জন দ্বীপের উদ্যানে
শুধু সারি সারি সাদা জুঁই ফুল হয়ে ব্যথা সরণীর পারে পারে
নি:সঙ্গ,নির্বিরোধ,সমস্ত শান্ত-যুদ্ধ সাদা আঁচলে মুছে নেবে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।