• Uncategorized
  • 0

ফার্স্ট স্টপ

ফার্স্ট স্টপ : জগন্নাথ মাইনাস রথ ইজ ইকুয়াল টু ‘প্রভুর ইচ্ছা নেই’

ওহে জগন্নাথস্বামী
সেই রূপে রয়ি তুমি
মোর নেত্র-পথগামী হও।।

পুরাণ থেকে মূলত রথ যাত্রার কথা জানা যায়। স্কন্দ পুরাণে আমরা পাই যে ইন্দ্রদ্যুম্ন নামে এক রাজা ছিলেন উত্কল রাজ্যে, (বর্তমান উড়িষ্যা) তিনি ছিলেন পরম ভক্ত। তিনি একদিন স্বপ্নাদিষ্ট হন একটি মন্দির নির্মাণের জন্যে। পরে দেবর্ষী নারদ এসে জানান স্বয়ং ব্রহ্মারও তাই ইচ্ছা, তিনি নিজে সেটা উদ্বোধন করবেন। নারদ রাজাকে বললেন আপনি বহ্মাকে নিমন্ত্রন করুন। সেই উপদেশ মাথায় রেখে রাজা ব্রহ্মলোকে গেলেন এবং বহ্মাকে নিমন্ত্রণ করলেন। কিন্তু ব্রহ্মলোকের সময় এর সাথে তো পৃথিবীর মিল নেই, আর পৃথিবীতে তত দিনে তাই কয়েক শতবছর পার হয়ে গেছে। ফিরে এসে রাজা দেখলেন তাকে কেউ চেনে না। যা হোক তিনি আবার সব কিছু নতুন করে করলেন। দৈবভাবে রাজা জানতে পারলেন সমুদ্র সৈকতে একটি নিম কাঠ ভেসে আসবে, সেটা দিয়েই তৈরি হবে দেব বিগ্রহ।
একজন কারিগর এলেন বিগ্রহ তৈরি করতে, কিন্তু নির্মাতা শর্ত দিলেন তিনি নিভৃতে কাজ করবেন। আর বিগ্রহ তৈরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিরক্ত করা যাবে না এবং মন্দিরে যাওয়াও যাবে না। এদিকে মূর্তি তৈরি শুরুর কিছু দিন পর রাজা কৌতূহল সংবরণ করতে না পেরে মন্দিরে প্রবেশ করে দেখেন কেউ নেই সেখানে। আর আমরা যে রূপে এখন জগন্নাথ দেবকে দেখি, সেই মূর্তিটি শুধু রয়েছে। পরে ঐ ভাবেই স্থাপিত হয় মূর্তি। ইন্দ্রদ্যুম্ন রাজা জগন্নাথ দেবের মূর্তিতেই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণ এবং জগন্নাথ দেব একই সত্ত্বা চিন্তা করে একই আদলে তার পাশে ভাই বলরাম এবং আদরের বোন সুভদ্রার মূর্তি স্থাপন করা হয়। পুরীতে তিন রথের যাত্রা হয়, প্রথমে বলরাম তার পর সুভদ্রা এবং শেষে জগন্নাথ। ১১৯৯ খ্রিস্টাব্দে রাজা অনঙ্গভীমদেব তিনরথের রথ যাত্রা প্রচলন করেন।
জগন্নাথ দেবের মূর্তির রূপ নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন আছে। কেন এই রূপ তাঁর। এখন তারই কিছু বিশ্লেষণ দেখা যাক। কঠোপনিষদে বলা হয়েছে-
“আত্মানং রথিনং বিদ্ধি শরীরং রথমেব তু।
বুদ্ধিং তু সারথিং বিদ্ধি মন: প্রগ্রহমেব চ।। (১/৩/৩) অর্থাৎ এই দেহই রথ আর আত্মা দেহরূপ রথের রথী। আর ঈশ্বর থাকেন অন্তরে। রথ যাত্রার রূপক অর্থ কিন্তু এমনই। যাহোক তিনি আমাদের অন্তরে থাকেন। তাঁর কোন রূপ নেই। তিনি সর্বত্র বিরাজিত অর্থাৎ-
ঈশাব্যাসমিদং। বেদ বলছে— আবাঙমানসগোচর, মানে মানুষের বাক্য এবং মনের অতীত। আমরা মানুষ তাই তাকে মানব ভাবে সাজাই। এবিষয়ে কৃষ্ণ যজুর্বেদিয় শ্বেতাশ্বতর উপনিষদের তৃতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে-
অপাণিপাদো জাবানো গ্রহীতাপশ্যত্যচ ক্ষুঃ স শৃণোত্যকর্নঃ।
স বেত্তি বেদ্যং ন চ তস্যাস্তি বেত্তাতমাহুরগগ্র্যং পুরুষং মহান্তম্।।
অনুবাদ: তার লৌকিক হস্ত নাই, অথচ তিনি সকল দ্রব্য গ্রহণ করেন। তাঁর পদ নাই অথচ সর্বত্রই চলেন। তাঁর চোখ নাই অথচ সবই দেখন। কান নাই কিন্তু সবই শোনেন। তাঁকে জানা কঠিন, তিনি জগতের আদিপুরুষ। এই বামনদেব ই বিশ্বাত্মা, তাঁর রূপ নেই, আকার নেই । উপনিষদের এই বর্ণনার প্রতীকী রূই হল পুরীর জগন্নাথদেব। পুরাণ মানেই ধর্ম কথাকেই গল্পচ্ছলে বা রূপকের মাধ্যমে প্রচার। তাঁর পুরো বিগ্রহ তৈরি সম্ভব হয়নি- কারণ তাঁর রূপ তৈরিতে আমরা অক্ষম। শুধু প্রতীককে দেখান হয়েছে মাত্র। তাছাড়া ও আর একটি পৌরাণিক কাহিনী আছে সেটা হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২ বছর বয়সে বৃন্দাবন ত্যাগ করেন, তারপর তিনি আর বৃন্দাবনে আসেননি। কিন্তু একবার রথে করে পার্শ্ববর্তী গ্রামে এসেছিলেন বৃন্দাবনবাসিদের সাথে দেখা করতে। বৃন্দাবনবাসিরা কৃষ্ণকে প্রাণাধিক ভালবাসত তাই তাঁর বিরহে তাঁর প্রিয়জনদের অবস্থা দেখে কিছুক্ষণের জন্যে কৃষ্ণ বলরাম সুভদ্রা তিন জন
নির্বাক হয়ে যান এই ভালবাসা দেখে। তখন তাঁদের অমূর্ত রুপ ফুটে ওঠে। এই রূপই বর্তমান জগন্নাথ দেবের রূপ।
জগন্নাথ পুরীকে পুরুষত্তোম ক্ষেত্র বলা হয়। কারন,এখানকার রথ যাত্রায় দিন কোন ভেদাভেদ থাকে না। ধনী,দরিদ্র, উচু, নিচু, স্পৃশ্য, অস্পৃশ্য সবাই এক কাতারে ভগবানকে নিয়ে রাজ পথে নামে। আর
আমাদের মনে করিয়ে দেয় ভগবান সবার এবং সবাইকে একত্রিত হতে। কারণ ভগবান সকলেরৱ, ভগবানে সবার সমান অধিকার । গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু সবাইকে নিয়ে কীর্তন করতে রথযাত্রায় অংশ নিতেন। তাছাড়া প্রভাষখন্ড থেকে জানা যায় যে পুরীতে অভক্তু থেকে বিগ্রহ দর্শন করা যাবে না। আগে প্রসাদ খেতে হবে পরে দেব বিগ্রহ দর্শন। এখনও এ নিয়মচলে আসছে। পুরীকে শঙ্খক্ষেত্রও বলা হয় কারণ মানচিত্রে একে শঙ্খের মত দেখতে লাগে।

🔖কখন শুরু হয়েছিল?
‘উৎকলখণ্ড’ এবং ‘দেউল তোলা’ নামক ওড়িশার প্রাচীন পুঁথিতে জগন্নাথদেবের রথযাত্রার ইতিহাস প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে এই রথযাত্রার প্রচলন হয়েছিল প্রায় সত্যযুগে। সে সময় আজকের ওড়িশার নাম ছিল মালবদেশ। সেই মালবদেশের অবন্তীনগরী রাজ্যে ইন্দ্রদ্যুম্ন নামে সূর্যবংশীয় এক পরম বিষ্ণুভক্ত রাজা ছিলেন, যিনি ভগবান বিষ্ণুর এই জগন্নাথরূপী মূর্তির রথযাত্রা শুরু করার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। পরবর্তিকালে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ ও রথযাত্রার প্রচলন করেন।
🔖জগন্নাথের মূর্তিগুলো হাত-পা বিহীন, বড়বড় চোখের এবং অদ্ভূতদর্শন কেন?
বৈষ্ণবীয় দর্শন মতে, একদা দ্বারকায় মহিষীগণ রোহিনী মাতাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে এত সেবা করার পরও তিনি যেন শ্রীদাম-সুদাম, কখনও মা যশোদা-নন্দ বা কখনও ব্রজবাসীগণ বলতে মুর্ছা যান। তার কারণ কি?
তখন মাতা রোহিণী সুভদ্রাকে বললেন তুমি একটু দরজার বাইরে থাকো। এ বর্ণনা তুমি সইতে পারবে না। সুভদ্রাকে বাইরে রেখে মাতা রোহিণী মহিষীদেরকে বলতে লাগলেন কৃষ্ণ বিহনে বৃন্দাবনের তরু-লতা-পশু-পাখি কিভাবে হা-কৃষ্ণ হা-কৃষ্ণ বলে কাঁদছে, কিভাবে মূর্ছা যাচ্ছে নগরবাসীরা। সখাগণ অনাহারে অনিদ্রায় কালাতিপাত করছে। মা যশোদা, পিতা নন্দ প্রতিদিন ছানা-মাখন নিয়ে গোপাল গোপাল বলে কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গেছেন। কৃষ্ণবিহনে ব্রজগোপীগণ প্রাণান্তপ্রায়। এদিকে ভগিনী সুভদ্রা দেবীকে একটি কক্ষের দ্বারে দেখতে পেয়ে কৃষ্ণ এবং বলরাম তাঁর নিকটে এসে দাঁড়ালেন। কক্ষাভ্যন্তর থেকে ভেসে আসা ধ্বনি, রোহিনী মাতা কর্তৃক বর্ণিত ব্রজবাসীদের কৃষ্ণ-বিরহ কথা শ্রবণ করতে করতে কৃষ্ণ, বলরাম এবং সুভদ্রা বিকারগ্রস্ত হতে লাগলেন।
🔸 তাদের হস্ত-পদ শরীরাভ্যন্তরে প্রবিষ্ট হতে লাগল। চক্ষুদ্বয় বিস্ফারিত হতে লাগল।🔸
এমতাবস্থায় সেখানে নারদ মুনি উপস্থিত হয়ে সেই রূপ দর্শন করলেন। তখন নারদ মণি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট প্রার্থনা করলেন, হে ভগবান, আমি আপনার যে রূপ দর্শন করলাম, যে ভক্ত বিরহে আপনি স্বয়ং বিকারগ্রস্ত হয়ে থাকেন, সেই করুণার মূর্তি জগতবাসীর কাছে প্রকাশ করুন। নারদ মুণির প্রার্থনায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, দারুবৃক্ষ (জগন্নাথ) রূপে শ্রীক্ষেত্র বা পুরীতে আমি এই রূপে আবির্ভূত হবো।
🔖রথযাত্রায় কয়টি রথ ব্যবহৃত হয় বা হতো?
🔖কারা থাকেন এই রথ তিনটিতে?
🔖রথ তিনটির নাম কি?
🔖রথের রঙ কি কি?
🔖উচ্চতা ও চাকার সংখ্যা কত?
পুরীর রথযাত্রা উৎসব হচ্ছে বড় ভাই বলরাম বা বলভদ্র ও বোন সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন যাত্রার স্মারক। তিন জনের জন্য আলাদা আলাদা তিনটি রথ। রথযাত্রা উৎসবের মূল দর্শনীয় হল এই রথ তিনটি।
〰প্রথমে থাকে বলরামের রথ→ ‘তালধ্বজ’। রথটির চোদ্দোটি চাকা। উচ্চতা চুয়াল্লিশ ফুট। রথের আবরণের রঙ 🔵 ‘নীল’।
〰তারপর যাত্রা করে সুভদ্রার রথ। রথের নাম ‘দর্পদলন’। উচ্চতা প্রায় তেতাল্লিশ ফুট। এই রথের মোট বারোটি চাকা। এই রথটির ধ্বজা বা পতাকায় ‘পদ্মচিহ্ন’ আঁকা থাকে, তাই রথটিকে ‘পদ্মধ্বজ’ও বলা হয়ে থাকে। রথের আবরণের রঙ 🔴 ‘লাল’।
〰সবশেষে থাকে জগন্নাথদেবের রথ। রথটির নাম ‘নন্দীঘোষ’। পতাকায় কপিরাজ হনুমানের মূর্তি আঁকা রয়েছে তাই এই রথের আর একটি নাম ‘কপিধ্বজ’। রথটির উচ্চতা পঁয়তাল্লিশ ফুট। এতে ষোলোটি চাকা আছে। প্রতিটি চাকার ব্যাস সাত ফুট। রথটির আবরণের রঙ 🔶 ‘হলুদ’।
🔵 🔴 🔶 তিনটি রথের আবরণীর রঙ আলাদা হলেও প্রতিটি রথের উপরিভাগের রঙ 🔴 ‘লাল’।
🔖রথযাত্রার মোক্ষ বা পূণ্য কি?
〰আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে অনুষ্ঠিত এই রথযাত্রা কিংবা পুনর্যাত্রা অর্থাৎ উল্টোরথ, রথোপরি ভগবান জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রাদেবীকে দর্শন করলে এই জগতে আর পুর্নজন্ম হবে না।
(বৌদ্ধধর্ম তেও অনেক যুগ ধরে রথের প্রচলন আছে। সেটা আলোচনায় আনলাম না)
লেখাটা শেষ করবো তাঁকে আজকের দিনে বন্দনা করে-
▪বলভদ্র ধ্যানঃ–
ওঁ বলঞ্চ শুভ্রবর্ণাভং শরদিন্দুসমপ্রভম্ ।
কৈলাসশিখরাকারং ফণাবিকটবিস্তরম্ ॥
নীলাস্বরধরঞ্চোগ্রং বলং বলমদোদ্ধতম্।
কুণ্ডলৈকধরং দিব্যং মহামুষলধারিণম ।
মহাবলং হলধরং রৌহিণেয়ং বলং প্রভুম ॥
▪স্বভদ্রা ধ্যানঃ–
ওঁ সুভদ্রাং স্বর্ণপদ্মাভাং পদ্মপত্রায়তেক্ষণাম্ ।
চিত্ৰ-বস্ত্রসমাচ্ছন্নাং হারকেয়ূরশোভিতাম্ ॥
বিচিত্রাভরণোপেতাং মুক্তাহারবিলম্বিতাম্।
পীনোন্নতকুচাং রম্যাং সাধ্বীং প্রকৃতি রূপিকাম্।
ভুক্তিমুক্তিপ্রদাত্রীঞ্চ ধ্যায়েত্তামম্বিকং পরাম্ ॥
▪জগন্নাথ ধ্যানঃ—
ওঁ দেব-দেব জগন্নাথ সংসারার্ণবতারক।
ভক্তানুগ্রাহক সদা রক্ষ মাং পাপতো নরম্ ॥
১|| জয় কৃষ্ণ জগন্নাথ জয়সৰ্ব্বাঘনাশন ।
জয়শেষজগদ্বন্দ্যপাদান্তোজ নমোহস্তু তে ॥
২|| জয় ব্ৰহ্মাণ্ড-কোটীশ বেদ-নিশ্বাস ধারক।
অশেষজগদাধার পরমেশ নমোহস্তু তে ॥
৩|| জয় ব্রহ্মেন্দ্ররুদ্রাদি দেবৌঘপ্রণতার্ত্তিনুত ।
নীলাচল-নিবাসায় নিত্যায় পরমাত্মনে ৷
বলভদ্র-সুভদ্রাভ্যাং জগন্নাথায় তে নমঃ।।
এত সময় যা লিখলাম তা কুড়িয়েছি মাত্র, একটিও আমার কথা নয়। তবে এত কথা বলার পেছনে উদ্দেশ্য একটাই। মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের রায় —
‘এবছর রথ করলে ভগবান জগন্নাথ খুশি হবেন না’, ২৩ জুন রথযাত্রা স্থগিত করে জানাল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিমকোর্ট যে সিদ্ধসাধকদের নিয়ে গঠিত তা জানা ছিলো না। যারা জানতে পারে ভগবান কীসে খুশি হন।
আর মন্দির কর্তৃপক্ষ বলল, ‘সবই প্রভুর ইচ্ছে’। কোনো প্রতিবাদ নয়। কেমন যেন সাজানো সাজানো লাগলো না? আমি তো কিছু দুষ্টুলোককে বলতে শুনলাম অন্যকিছু। অংকটা বলি? পুরীধাম তথা নীলাচল পীঠের শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দজীউর সাথে বিজেপি, উড়িষ্যা পট্টনায়ক সরকার তথা মন্দির কতৃপক্ষের সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ভালো না। পরম্পরাগতভাবে জগন্নাথদেবের রত্নপেটিকার রক্ষক নীলাচলপীঠাধিশ শঙ্করাচার্য আর তাই নিয়েই সমস্যা বহুদিনের। এবারের করোনা পর্যায়ে শঙ্করাচার্যজীউ বলেছিলেন মন্দিরের কমপ্লেক্সে হলেও রথ করার কথা, অন্ততপক্ষে নিয়মরক্ষার জন্য। সুতরাং সেটিকে বাতিল না করলে মান যায়। দুষ্টুলোকেদের এই অংক যদি সত্যি হয় তবে কিছু প্রশ্ন থেকে গেলো। লকডাউন উঠে যেতে পারে, মদের দোকান খোলা রাখতে হতে পারে, বাজারে বাজারে কাতারে কাতারে লোক নামতে পারে রথ চলতে পারে না। তাও যেখানে বলা হয়েছিলো এবছরে কেউ যাবে না। সময় এর উত্তর দেবে। আমরাও অপেক্ষা করবো উত্তরের। কিন্তু প্রশ্নকর্তার যে বড় অভাব আজ!!!

শাল্যদানী

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।