এই যে আমি আজ ফার্স্ট স্টপ লিখতে বসেছি দিনটা বিশ্বকর্মার। ঘুড়ি উড়িয়ে আমার হাত দুটো অসাড় যখন হয়নি, মানে ঘুড়ি যখন ওড়াতেই পারিনা তখন বিশ্বকর্মার ঘুড়ি তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের হাতে সঁপে দিয়ে আমি ভাবি বরং কর্মের কথা। সকাম, অকাম, নিষ্কাম এসব কর্ম নিয়ে যা বলার তা তো বলবেন তেনারা যাঁরা পড়ে পুণ্যবানে লিখবেন। আমি ভাবছি সেই কর্মের কথা, যে কর্মটা ফোরায় না কোনোদিন। ভাবনা। মনের সহজাত ভাব যদি ভাবনা হয় তবে ভাবনাকে আমি সহজেই বলতে পারি কর্মের প্রথম প্রকাশ। ভাবনার তাতে রেগে যাওয়ার কোনো কারণ নেই, কারণ, আমি যা লিখছি তা ভাবনাই যুগিয়ে যাচ্ছে। কী যোগাচ্ছে? ভাষা। ভাষার জন্যইতো সব কিছু। তা সে কথ্য, লেখ্য, আলেখ্য, ইঙ্গিত, অঙ্গভঙ্গি, আঙ্গিক বা নাট্য- তন্ত্র- যোগ শাস্ত্রীয় বিশুদ্ধ মুদ্রা হোক না কেন তা তো ভাষাই! ভাষাহীন কর্ম নেই। তাহলে সেই ভাষার জন্মদাতা তো আর কেউ নয়, আমাদেরই ভাবনা। তাহলে বিশ্বসংসারের যদি কর্মের কোনো অধিক কর্ম থাকে তা হলো ভাবনা।
আজ বিশ্বকর্মা পুজো, অবশ্য যখন আপনারা পড়বেন তখন আগামী কাল হয়ে যাবে। সে যাই হোক বুঝলেন কীনা, ফার্স্ট স্টপটা লিখে বিশ্বকর্মা পুজোটা সারলাম। বুঝলেন না? আরে মশাই পুরোটাই ভাবনা…