ইউরেকা!!! সিন্ডারেলা গল্পটা যে এভাবেও ভাবা যায় সেটা মাথায় খেলে যাওয়ার জন্য নিজের পিঠ নিজেই চাপড়াচ্ছি।
সিন্ডারেলার বয়েস হয়েছে। দাঁত নেই। একটিও নেই। তাই রাজবাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যেতে পারছে না। কাঁদছে। পরি এসে দুপাটি দাঁত বাঁধিয়ে দিতেই হাসি মুখে দাঁত পরে চলে গেল রাজবাড়ি।
তারপর, রাজপুত্রের সঙ্গে নাচতে নাচতে খিলখিলিয়ে হাসতে গিয়ে যেই না তার একপাটি দাঁত খুলে গেছে, অমনি দে দৌড়।
তার ফোকলা মাড়ি দেখে যদি রাজপুত্তুর আর ভাল না বাসে! কী লজ্জা, কী ঘেন্না, কী অপমান!
তরতরিয়ে সিঁড়ি বেয়ে সে আঁধারে তো মিলিয়ে গেল। এদিকে পড়ে থাকা দাঁতের পাটি কুড়িয়ে নিয়ে রাজার নন্দনের সে কী কান্না। চতুর্দিকে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে দিল, এই দাঁতের পাটি যার মুখে ফিট করবে তাকে যেন ধরে নিয়ে আসা হয়।
কত লোক আপন দাঁত তুলে ফেলল ওই দাঁতকপাটি পরার জন্য। কিন্তু হায়, কারো মুখে ওটা ফিটই করল না। শেষে লোকের মুখে মুখে ঘুরতে ঘুরতে ওটা সিণ্ডারেলার কাছে ফিরে এল। সে জিভ কেটে লজ্জা লজ্জা মুখে ওটা মুখে দিতেই, খাপে খাপ, কার যেন বাপ।
একপাটি জুতো অনেকেরই পায়ে ফিট করে যেতে পারে। কিন্তু একপাটি দাঁত, কভি নেহি।
জুতোর বদলে দাঁতটাই অনেক মানানসই না এ গল্পে? (এ আঙ্গেল থেকে দাঁতের ডাক্তার ছাড়া আর কারও পক্ষে ভাবাই সম্ভব নয়।)