• Uncategorized
  • 0

মনের কথায় কৃপা বসু

যারা নিজেদের “মেয়েমানুষ” বা “মেয়েছেলে” ভাবে, ওদের বিয়ের খবর শুনলে শিউরে উঠি আজকাল।
এইতো কদিন আগের নীল চুড়িদারের ওপর ফুটে ওঠা কচি আধফোটা বুক আজ নিজেদের লুকিয়ে বাঁচিয়ে সবার নজর এড়িয়ে ঢেকে ঢেকে চলাফেরা করে। নোয়া, শাঁখা, পলা, এক মাথা সিঁদুর দেখে বড্ড অচেনা মনে হয় কাছের মেয়েটাকে, যার শরীরের গন্ধও আমি টের পেতাম দূর থেকে….
জিজ্ঞেস করলে বলে ”ভালো আছি”, জানি ভালো নেই মেয়েটি।
আসলে ভালো আছি বলতে বলতে ভালো থাকতে শিখে যায় ওরা।
হাড় পাঁজর বেরিয়ে আসা এবড়ো খেবড়ো সংসারের গল্প শুনলে বমি পায়, ওয়াক ওয়াক করি, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
একবারও না তুতলিয়ে ওরা স্পষ্ট ভাবে সহজেই মুচকি হেসে বলে যায় বিয়ের পর প্রথম রাত, প্রথম সঙ্গম, প্রথম কোনো পুরুষের কাছে আসার কথা। মরচে রঙের শিথিল হওয়া ঠোঁটে কিভাবে কামড় বসায় ওদের বর, সেটাও খুব নিখুঁত ভাবে বর্ণনা দেয়। যোনির ভেতর লাঙল চলে, গলগল করে রক্ত না বেরিয়ে আসা পর্যন্ত…
শরীর ঘষতে ঘষতে ছাল চামড়া উঠে গেলে
ভালোবাসার জিভে ছুরি চালিয়ে বিশ্বাস, সম্মান, বন্ধুত্বের শেকড় ছিঁড়ে ফেলে একদিন ওরা। তারপর ওরা গৃহবধূ থেকে কেউ বেশ্যা হয়, নয়তো অন্যের বাড়ির কাজের লোক আর নয়তো একদিন চুপচাপ আত্মহত্যা করে…
আর পারিনা ওদের ভুলযাপনের গল্প শুনতে, কান চেপে ধরি, দড়াম করে ওদের মুখে দরজা বন্ধ করে শহরের বৃষ্টি মাখি গায়ে, নরম, সুস্বাদু বৃষ্টি…
অসাবধানে পিছনে ফিরলে দেখি মর্গের ঠিক পাশেই সুসজ্জিত ফুলের দোকান, মাঝখানে একটা ছেলে শুয়ে থাকে রোজ। ওর চোখে দুমুঠো ভাত খাওয়ার নিষ্পাপ খিদে খুঁজে পাই। ভিখারির মতো ওর পায়ের কাছে বসি, এক থালায় ভাত খাই….
আহা কি তৃপ্তি!! ওই ”মেয়েছেলেগুলোর” কাছে যা কখনও পাইনি…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।