দেবী বিশালাক্ষী বঙ্গঘরানার স্বতন্ত্র তান্ত্রিক দেবী।পিচ্ছিলা তন্ত্রম্ মতে দেবী পঞ্চকালিকার অন্যতমা।যথা-“ভীমা শ্বেতকালিকা চ দক্ষিনা শ্মশানকালীকা।বিশালাক্ষীকালিকা বিদ্যা কলৌসিদ্ধ্যা প্রকির্ত্তীতা।।” তন্ত্রচুড়ামনী তন্ত্রম্ মতে বিশালাক্ষী সতীর মহাশক্তি পীঠ ।ভৈরব যথা কাল ও দেবীর কুন্ডল পতীত হয় মনিকর্নিকায় যা বিশালাক্ষী পীঠ নামে নামাঙ্কিত। কিন্তু শিবচরিতকল্পোল্লাস মতে এটি ২৪ উপপীঠের মধ্যে অন্যতম এই বিশালাক্ষী পীঠ। নবরত্নেশ্বর ,দ্যেব্যার্ণব ,আদীযামল প্রভৃতি তন্ত্রমে দেবীর ন্যাস ,ধ্যান,যোগিনীগনাদী নিরুপিত হলেও দেবীর উৎপত্তি হয় পুরানে । স্কন্দ পুরানের কাশীখন্ডে উত্তর্ধের ৭০ অদ্ধ্যায়ে দেবীকে বলা হয়েছে বারাণসী ক্ষেত্রের পরমসিদ্ধিদা। এবং শংকর আদেশে বারাণসী মহাক্ষেত্র রক্ষারর্থে নন্দীকেশ্বর গঙ্গা বক্ষ্যে বিশাল পীঠ নির্মাণ করে দেবীর অধিষ্ঠান করান। নিম্নে সেই কাহিনী ও ভাদ্রকৃষ্ণতৃতীয়ায় মহাবিশালাক্ষীর মহাযাত্রা মাহাত্ম্য উক্ত পুরান থেকে তুলে দিলাম।……..
অথঃ বিশালাক্ষী মাহাত্যম্-
অগস্ত্য উবাচ।
কাত্যায়নেয় কথয় নন্দিনা বিশ্বনন্দিতা।
যথা ব্যাপারিতা দেব্যো দেবদেবনিদেশতঃ।।১
অবিমুক্তস্য রক্ষার্থং যত্র যা দেবতাঃ স্থিতঃ।
প্রসাদং কুরু মে দেব তা সমাচক্ষ্ব তত্ত্বতঃ।।২
ইত্যাগস্ত্যাদিতং শ্রুত্বা মহাদেব তনুদ্ভবঃ।
কথয়মাস যা যত্র স্থিতানন্দবনে মুদা।।৩