আমি আধুনিকা নারী
চলনে বলনে পরিধানে
আমি ত্যাগ করেছি শাড়ী।
আমি চালাই ওলা উবের অটোরিকশা
আমি পাইলট আমি নাবিক
আমি সীমান্তে প্রহরারতা সৈনিক।
আমি ডাক্তার আমি ইঞ্জিনিয়ার
আমি শেয়ার বাজারের ব্রোকার
আমি শুধু স্কুলশিক্ষিকা স্টেনো টাইপিস্ট অফিস সেক্রেটারী নই আর।
আমি আজ রাঁধিও না আর চুলও বাঁধি না
আমি আর এখন মুখ বুজে সহ্য করি না
আমি আজ বলতে শিখেছি ‘না’ মানে ‘না’।
হ্যাঁ এখনো আমি হচ্ছি ধর্ষিতা
তখনই বা কম কী হয়েছি
যখন লিখেছ আমাকে নিয়ে লম্বা লম্বা কবিতা।
আমার শাড়ীর ফাঁক ফোকর থেকে
আমার অঙ্গ ভঙ্গি শরীরের গঠন দেখে
ছত্রে ছত্রে শব্দবাণে ছিন্ন করেছ
করেছ আমার প্রতিটি অঙ্গের ব্যবচ্ছেদ।
আজ দিচ্ছ পোশাকের দোহাই
বলছ কেন একা রাস্তায় আধুনিকা
রোখো, সেদিন আর দূর নেই
যেদিন এই আধুনিকা পাল্টাবে ভূমিকা
দেখবে সেদিন কে ধর্ষক আর কে ধর্ষিতা।