“হায় হায় দিন চলি যায়”
দুপুরের প্রথম প্রহরের রাগ ভীমপলশ্রী। সকালে সূর্যের উদয় এবং বিকালের পর তার অস্ত যাওয়া, এরই মাঝে যে সময় যখন একটি দিনের মধ্যবর্তী পর্যায় সেই সময়ে গাইবার জন্য এই রাগটি সৃষ্ট।
কাফি ঠাটের এই রাগ ভীমপলশ্রী তে কোমল ‘নি’ এবং ‘গা’ ব্যবহৃত হয়। ভীমপলশ্রী রাগ কেবল গাইলে নয় তা যে কোনো ভারতীয় শাস্ত্রীয় বাদ্যযন্ত্রেও শুনতে একইরকম সুন্দর এবং মাধুর্যপূর্ণ লাগে।
ভীমপলশ্রী রাগে রচিত নিয়ামত খানের একটি বিশেষ বন্দিশ
“যা যা রে আপনে মন্দিরবা
শুন পাবেগি মোরি সাস নানাদিয়া”
যে বন্দিশ সুরে গীত হলে চোখের সামনে যেন সত্যিই রাগমালা নেমে আসে।
রবীন্দ্রনাথও অসংখ্য গান এই রাগে সৃষ্টি করেছেন।
ভারতীয় বিভিন্ন শাস্ত্রীয় সংগীতের ঘরানায় এই রাগ তার নিজ মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে সেই সকল ঘরানার অঙ্গ কে বজায় রেখে বিভিন্ন বন্দিশ সহযোগে গীত হয়ে থাকে।