• Uncategorized
  • 0

দৈনিক ধারাবাহিক উপন্যাসে মৃদুল শ্রীমানী (পর্ব – ১)

‘যেনাহং নামৃতা স্যাং’

আঁচলের টাকা কটা একবার অনুভব করে নিল শ্যামলী I ব্যাগে নানা জায়গায় যে অল্প করে কিছু টাকা রাখা নেই তা নয়I তবু আঁচলের টাকা মানে অনেকটাই I দূর পথের যাত্রিণী সে I এই ট্রেন যেখানে একেবারে থেমে যাবে , তার পরেও সে এগিয়ে যাবে আর কিছুটাI সে জায়গাটা পাহাড়ে ঘেরাI আর বয়ে চলেছে একটি চঞ্চলা নদী I উঁচু উঁচু গাছ I তার চাইতেও অনেক উঁচু পাহাড় চার দিকে I তাদের মাথায় বরফ I শীত লাগবে খুব I শীতের কিছু পোশাকও সাথে নিয়েছে সেI আর আস্তে আস্তে শীতকে মানিয়ে নেবে I যাদের কাছে সে যাচ্ছে , তারা শীত গ্রীষ্ম কিছুই মানে নাI মানে না লোক লজ্জাও I

বাবাকে একবার মনে পড়ে শ্যামলীর I খুব হুল্লোড় করে বাঁচতে ভালবাসতেন I গাড়ির পার্টসের দোকান ছিল বাবারI তখন অ্যামবাসাডর গাড়ির জমানা I এলাকায় যে কেউ গাড়ি কিনতে চাইলে বাবার কাছেই আসতে হতো I ভায়েরা কেউ বাবার ব্যবসাটা শিখতেই পারে নিI ওরা শুধু হুল্লোড় করে বাঁচাটা দেখেছিল I ওর পিছনে বাবার যে প্রবল ব্যবসা বুদ্ধি, জনসংযোগ আর মাথা ঘামানোর ক্ষমতা , সেটা দেখে নি I কিংবা হয়তো দেখেছিল, দেখলেই তো শেখা যায় না, অর্জন করতে হয়Iদু ভাইয়ের কেউ সেটা পারে নি I শ্যামলীর ইচ্ছে ছিল অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়েI নয়তো কমার্সI বাবা তোমার ব্যবসা দেখবো I বাবা চান নি I গুরুদেবের একান্ত নির্দেশ ছিল সংস্কৃত অনার্স নিয়ে পড়তে হবে I নইলে কলেজে যাওয়া হবে নাI আর অবশ্যই সকাল বেলার কলেজ I বেলার কলেজে কিছুতেই নয়I তার পড়াশুনা নিয়ে বাবার গুরুদেব এমন কঠোর নিদান হেঁকে রেখেছেন শুনে শ্যামলী খুব বিরক্ত হল I দিদি গুরুদেবের কথা শুনে সংস্কৃতে এম এ করেছে I গুরুদেবের কাছে গিয়ে পড়ে আসে মাঝে মধ্যেই I কি পড়ায় কে জানে লোকটা I পুজোর সময় উচ্চারণ দেখলে ত মনে হয় না দেবভাষার সাথে লোকটার পরিচিতি আছেI টুয়েলভে পড়তে পড়তে বহু প্রেমপত্র পেয়েছে শ্যামলী I কে নেই তালিকায়? এ দেশে শিক্ষকেরাও অনূর্ধ্ব ১৮ কিশোরীকে প্রেমপত্র দিতে সংকোচ বোধ করেন নাI এমন আলটপকা প্রেমপত্র পেয়ে এরোপ্লেন করে ক্লাসঘর থেকে উড়িয়ে দিয়েছে শ্যামলী I অন্য মেয়েরা ভয় পেয়েছে I তোর কি হবে রে? সময় মতো একটা ভাল বর হবেI আমি এই বয়সে কিছুতেই প্রেমে পড়ছি নাI ক্লাসের মেয়েরা ওর দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকতো I

বাবা কিছুতেই শ্যামলী কে দুপুর বেলার কলেজে পড়তে দেবেন নাI
কেন বাবা ? আমি কি তোমার মেয়ে নই?
হ্যাঁ , সেই জন্যেই তো চিন্তা করি I
কি চিন্তা করো বাবা?
আমার সোনা মেয়েটাকে কেঊ ফুসলে নিয়ে না পালায় I
ওহো বাবা, তাই ? কি করে পালাবে নিয়ে? আমার ওজন জানো ? ষাট কেজি ছুঁই ছুঁই I
মেয়েদের ভোলানো খুব সহজ মা I
কি যে বলছ বাবা I সেই কবে থেকে আমি প্রেমপত্র পাই জানো ? ক্লাস সেভেন I বানান ভুলে ভরা গুলো ফেলে দিয়েছি I ভালো হাতের লেখাগুলো দ্যাখো I পুরোনো স্কুল ব্যাগ খুলে দেখায় শ্যামলী I
বাবা বলেন – এগুলো রেখে দেবার মানে কি?
একটাই মানে বাবা, একটু চেহারা ছবি ভাল হলে সে মেয়ে এই সমাজে রোজ রোজ প্রেমপত্র পাবেI
তুই এগুলো আমায় দেখাচ্ছিস কেন?
তুমি বাবা, খবর রাখবে না তোমার মেয়ে কত প্রেম পত্র পায়? জানো , আমার কতো ফোন আসে?
কে করে?
কি করে বলব? কেবল গলাটা শুনতে চায়I
তুই তো আমায় বলিস নি !
কি বলব বাবা তোমার কাছে অভিযোগ করবো – দ্যাখো বাবা আমায় লোকে রোজ প্রেম পত্র দেয়? বললে তুমি কি করতে আমি জানি I
কি করতাম ?
আমার ক্লাস সেভেনের বেশি পড়া হতো নাI সাইকেল চালানো শেখা হতো নাI তুমি আমায় ঘরের বাইরে বের হতে দিতে না I বারান্দাতেও যেতে দিতে না I অমন মুর্খামি আমি কেন করবো ? বাবা , জানো তোমার সম্মান চলে যায় , আমি এমন কিছুই করবো নাI আমি জানি আমি শশাঙ্ক পালের মেয়ে I যার তার সাথে আমি ভেগে যাব নাI কিন্তু তুমি আমায় বিশ্বাস করো না বাবা I
কি করে করবো বলতো ? তুই এতো প্রেম পত্র পেয়ে বসে আছিস?
হ্যাঁ বাবা, প্রতি দিন প্রেম পত্র পেয়ে আমার মাথা ঘুরে যায় নি I বাবা আমি তোমার ব্যবসা দেখবো বলেছিলামI আমায় অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে দাও I তুমি শুনবে নাI যার তার সাথে প্রেম করার ইচ্ছে হলে কি আমি এতো দিনে একটাও কাণ্ড ঘটাতে পারতাম না?
কি জানি , মেয়েদের বিশ্বাস করতে সাহস হয় না?
কি মুশকিল , এই মন নিয়ে আদ্যা স্তোত্র পড়ো কি করে? মেয়েরা আদ্যাশক্তি , এই বিশ্বাস না থাকলে ওই স্তোত্রপাঠের দাম কি? দুর্গা ঠাকুরকে অঞ্জলি দাও কি করে?
মিইয়ে যাওয়া গলায় বাবা বলেছিলেন – গুরুদেব যে বারণ করছেন?
বাবা, তুমি যে টাটার শেয়ার কেনো আবার কখনো বেচে দাও সেটা কি গুরুদেব কে জিজ্ঞেস করে করো ? তোমার মেয়ে আমি , যে সে লোকে তু করে ডাকবে আর আমি চলে যাবো ?
মাঝ রাত অবধি তর্ক করে স্থির হোল শ্যামলী অঙ্কে অনার্স নিয়ে পড়বে I মর্নিং কলেজেই I

বাবা সকলকে নিয়ে হুল্লোড় করে বাঁচতে ভালবাসেনI বাড়িতে কত লোক I বাবার কারবারের ম্যানেজার বীরু কাকু I আছে সবিতা পিসি I এরা যে ঠিক কে , বাইরের লোকে বুঝবে নাI বাবাব্র গ্রাম সম্পর্কে আপনজন I কোথায় বাবার গ্রাম কোনও দিন যাওয়া হয় নিI গ্রাম থেকে লোকে আসে I তাদের থাকার জন্যে ব্যবস্থাও আছে I মাঝে মাঝেই বাবার পুরী বেড়াতে যাবার বাতিক I অজস্র বার গিয়েছেনI নির্দিষ্ট পাণ্ডার সাথে ব্যবস্থা আছেI বছরে বার দুয়েক বেড়াতেও নিয়ে যান বাবা I ওই হয় পুরী নয় কাশী কিংবা হরিদ্বার বা রাজগীর I ধর্মস্থান ছাড়া বাবা নিয়ে যাবেন না I আর যখন যাওয়া হবে তখন বীরু কাকু , সবিতা পিসি , এমন কি বাড়ির কাজের লোকেরা পর্যন্ত বাদ যাবে নাI সবাইকে নিয়ে হুল্লোড় না করলে তিনি খুশি হন নাI তা বলে দিদির হনিমুন পুরীতে? শ্যামলী কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল নাI তখন দিদির বরকে কায়দা মেরে জিজু বলার হুজুগ ওঠে নি I জামাইবাবু বলাটাই ছিল দস্তুর I শ্যামলী অবশ্য অরুণদা বলতো I
আপনি ব্যাঙ্কের মানেজার আর হনিমুন করতে চললেন পুরীতে ? লোকে বলবে কি?
লোকের বলায় কি এসে যায় মাদাম ? বউ সাথে যাচ্ছে , জাস্ট এইটাই তো বিশাল ব্যাপার I
হনিমুনে সাথে বউ কে নিয়ে যেতে পারছেন – এটাই আপনার কাছে বিশাল?
মাদামI আমার শ্বশুরটিকে তো তুমি চেনো ? ওঁর ভূগোলে পুরী হল সুইজারল্যান্ড I
জামাইবাবু , চালাকি করবেন নাI আপনার ভূগোল টা একটু বলবেন? আপনি মন থেকে রাজি?
আমার বউ চাইলে আমি পুরী বৃন্দাবন কাশী যে কোনও যায়গায় হনিমুনে রাজি I
ঠিক করে বলছেন? এই রাবণের গুষ্ঠি নিয়ে? কোনও প্রাইভেসি থাকবে? বউকে আলাদা করে কাছেও তো টানতে পারবেন না?
বউ তো আমারই রইলো !
আপনি না একটা হোপ লেস I

গুরুদেব এসেছেন I বাড়িতে বিশেষ পূজা I মায়ের একান্ত অনুরোধে শ্যামলী একটি শাড়ী পরেছে I বাবা গুরুদেবের বিশেষ অনুমতি নিয়ে টেন্ডার ভরতে গিয়েছেন I গুরুদেব বললেন – সব তৈরি তো ? মা মাথাটা নুইয়ে বললেন হ্যাঁ সব গোছানো I শুরু করলেই হয়I গুরুদেব জানতে চাইলেন তনুশ্রীকে দেখছি না কেন? গুরুদেব বরাবর দিদিকে পুরো নাম ধরে ডাকেনI মা গলা নিচু করে বললেন ওর শরীর খারাপI শ্যামলীর খারাপ লাগলো I সে ঘাড় শক্ত করে বসেI তার একগুঁয়ে মনোভাবের জন্যে গুরুদেব তাকে পছন্দ করেন নাI তার দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন আর কোনও মা জননীর শরীর খারাপ থাকলে বেরিয়ে যাও I কেঊ বেরোচ্ছে না দেখে গুরুদেব আবার বললেন তাহলে কারও শরীর খারাপ নেই তো ? শ্যামলী আর পারলো না I বলে উঠলো আপনার কথার মানে সবাই বুঝতে পেরেছে Iওটা অতো বার করে জানতে চাওয়া ঠিক নয়I গুরুদেব শক্ত চোখে তাকান I
সমস্যা থাকলে সাবধান করে দেবো না? এখন আমি তান্ত্রিক নিয়মে পুজা করব I কতো বড়ো সমস্যা হতে পারে তুমি জানো ?
আপনি যাকে সমস্যা বলছেন , সেটা আসলে সমস্যা নয় , শরীরের সুস্থতা I স্বাভাবিকতা I
মা শ্যামলীর ওপর রেগে ওঠেন I তুই চুপ কর মুখপুড়ি মেয়ে I বাবা, আপনি ওকে ক্ষমা করে দিন বাবা I বোকা মেয়ে, বোঝে নাI
দু পাতা বিজ্ঞান পড়ে নিজেকে কি ভেবে ফেলেছ ?
যেটুকু পড়েছি ফাঁকি দিই নি I বুঝতে চেষ্টা করেছিI
আবার মুখে মুখে কথা? মা ফুঁসে ওঠেন I বেরিয়ে যা এখান থেকে হতভাগী মেয়ে I
আমায় বের করে দিচ্ছ দাও, কিন্তু উনি যাকে সমস্যা বলছেন , সেটা আসলে সমস্যা নয় , শরীরের সুস্থতা I স্বাভাবিকতা I সুস্থ মেয়েদের ওটা হয়I মেয়েদের ব্যাপারটা উনি না জানতেই পারেন, কিন্তু জেনে নিতে দোষ কি ?
সবিতা পিসি ওকে বের করে নিয়ে চলে আসেI
দিদির ঘরে গিয়ে ঢুকলে দিদি বলে – তুই ঠাকুর দেবতা মানিস না, তোর ভয় করে না?
তুই নিজের পার্সোনাল কথা সকলকে বলে বেড়াস , তোর অস্বস্তি হয় না?
দিদি মুখ নিচু করে থাকেI শ্যামলী বলল – আমার মাসিক হয় এটা আমার স্বাভবিকতা I একান্ত নিজস্ব স্বাভাবিকতা I মাসিক হলে আমি অচ্ছুৎ হয়ে যাই না, আর এই ইনফরমেশনটা পাবলিককে জানাবার নয়I
তনুশ্রী মাথা নিচু করে থাকেI

কলেজ যাবার জন্যে তৈরি হয়ে নামলো শ্যামলী I গরম আলু সিদ্ধ ভাতে একটু নুন মরিচ মেখে খেয়ে বেরিয়ে পড়বেI ওটাই সকালের জলখাবারI মর্নিং কলেজ সামলে ফিরতে ফিরতে তিনটে I বীরু কাকা বলল আর আর কলেজে গিয়ে কাজ নেই I ঘরে বসে রূপটান করো I বিকেলে তোমায় দেখতে আসছে I বুকটা ছাঁৎ করে উঠলো শ্যামলীর I বীরু কাকা ফাঁকা কথা কয় নাI কিন্তু আজ আর তার কথা কানে নিল না মেয়েI চটিটা পায়ে কোনমতে গলিয়ে প্রায় দৌড় লাগাল I বুকের ভেতরটা ধড়ফড় করছেI সত্যি বাবা তাকে আর পড়তে দেবে না?
কলেজে সময়টা কাটল কোনোমতে I ক্লাস টেস্টের রেজাল্ট বেরিয়েছে I তার রেজাল্ট ভাল I কিন্তু তার সমস্ত খুসি বীরু কাকার এক খবরে স্রেফ উবে গিয়েছেI

কলেজ থেকে ফেরবার পথে স্টেশনের প্লাটফরমের পাশে বিশাল গাছটার দিকে তার চোখ পড়ে রোজ I কতো বড়ো গাছI শান্ত নীরব হয়ে শীত গ্রীষ্ম দাঁড়িয়ে থাকেI কতো প্রাণীকে আশ্রয় দেয়I কিন্তু একটি মেয়ে নিজের বাড়িতেও স্বচ্ছন্দে থেকে পড়াশোনার ইচ্ছে পূরণ করতে পারবে না ? আঠার বছর বয়সটুকু ক’দিন পার করেছে বলেই তার বিয়ে দেবার কথা ভাবতে হবে? নিজেকে পুরোপুরি তৈরি করার সুযোগ একটি মেয়ে পাবে না? নিজেকে হঠাৎ আশ্রয়হীন মনে হতে লাগলো শ্যামলীরI এতো বড়ো পৃথিবী I তার নিজের জন্যে একটুও নিরাপদ আশ্রয় জুটবে না? বাড়িতে ঢোকার আগে বাবার গ্যারাজে ঢুকল মেয়ে I মেকানিকেরা প্রায় সকলেই বাড়ির লোকের মতো I ওরা হেসে বলল – ছোটো বেলার মতো বাবাকে খুঁজতে এসেছিস ?
তাই বটেI ছোটবেলা শেষ হতে চলল খুব শীঘ্র I
বাবার অফিসঘরের কাঁচের দরজা একটুকু ফাঁক করে শ্যামলী জিজ্ঞাসা করলো – ভেতরে আসতে পারি?
কম্পিউটারে কাজ করছিল যে ছেলেটি সে শশব্যস্ত হয়ে বলল – সে কি ছোড়দি, এসো , ভেতরে এসো I
শ্যামলী ওর কথায় কান না দিয়ে বাবার দিকে স্থির চো্খে তাকিয়ে আবার জিজ্ঞাসা করলো – ভেতরে আসতে পারি?
আয়I বাবার গলায় কোনও উৎসাহ নেই I কাঠ কাঠ গলায় জানতে চাইলেন কি ব্যাপার I
ক্লাস টেস্টের রেজাল্ট টা দেখায় বাবাকেI
হ্যাঁ , ভাল নম্বর পেয়েছ I
আজ শ্রীনিবাস রামানুজম এর জন্মদিন I
রামানুজম ? তিনি কে?
মারা গিয়েছেন অনেকদিন হলI বিরাট গণিত প্রতিভা I
আসল কথাটা কিI
আমি অঙ্কটাই ভাল করে পড়বো I
পড়ো I কে বারণ করছে?
পড়াশুনা ছাড়া অন্য কোনও কিছু ভাবতে চাইছি না I
আসল কথাটা কি?
বীরু কাকা বলেছে আজ বিকেলে না কি কারা আমায় দেখতে আসছে ?
ও হ্যাঁ , গুরুদেবের ওরাও শিষ্য I আমাদের পালটি ঘর I আসুক দেখতে I কি বলে দেখি I
আমি যে বললাম – পড়াশুনা ছাড়া অন্য কোনও কিছু ভাবতে চাইছি না I
বোকা মেয়ে , বিয়ে হয়ে গেলে পড়বিI
সে হয় না বাবাI তারা পড়াবে কেন?
আমি টিউশনি করে পড়বো বাবা, আমায় এভাবে দূর করে দিও না I কান্না এসে গলা বুজে যেতে চায় শ্যামলীর I

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *