• Uncategorized
  • 0

টেকটাচ টক – ১০০দিন: বিশেষ সংখ্যায় বিশ্বজিৎ আঁকুড়ে

আমরা যাঁরা ঘরের খেয়ে বনের মোষ চরাই। নানা প্রলোভন থেকে শত-হস্ত দূরত্ব বিস্তার করি।তাঁরা কেউ কেউ অঙ্কের ক্লাসে বন্ধুর সাথে ফক্কড়ি করেছি।যাঁরা অঙ্কের জটিল সমাধানে ব্যস্ত থেকেছেন, সফলতার আনন্দ আত্মস্থ করেছেন, তাঁরা কেউ কেউ অন্যের খেয়ে ঘরের মোষ চরাবেন এটাই স্বাভাবিক। অঙ্কের জটিল সমাধান করে জীবন চলে ঠিকই, কিন্তু এই যে বনের মোষকে আপন করে নেওয়া! প্রলোভনের মুখে তুড়ি মেরে চল্-ফোট্ বলতে পারার অদম্য স্পর্ধা! —– না,আসলে আত্মতুষ্টির তীব্র আকাঙ্ক্ষাই আমাদের তাড়িত করে। যে পথে আপনার আত্মতুষ্টি নেই। সে পথে আপনি হাঁটবেন না নিশ্চিত। আমরা যা করি তা আসলে নিজের জন্যই। নিজের আত্মতুষ্টিতে সামিল হয়ে, সেখান থেকে যদি সমাজ-সাহিত্য-শিল্পাকলা-বিজ্ঞান-রাজনীতি কিছু পেয়ে থাকে তাহলে সেটা হয়তো বাড়তি পাওনা।বাকি যা-কিছু বলি তা ছেঁদো-কথা,বুকের বাঁ দিক সে চরম সত্য মানে।

এই আত্মতুষ্টিই বলুন আর প্যাশনই বলুন। যার তাড়নায় একদল তরুণ কবে ” Tech Touch টক”-এর জন্ম দিয়েছিল তার দিনক্ষণ আমার জানা নেই। তবে যে মানুষটির হাতে এই “Tech Touch টক” দৈনিক ই-ম্যাগ জনপ্রিয় হয়ে উঠলো, তিনি শ্রদ্ধেয় কবি-সম্পাদক ভজন দত্ত। যাঁর দক্ষ সম্পাদনা ও বলিষ্ঠ চিন্তা-ভাবনা বাংলা ই-ম্যাগের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। পৃথিবীর যাবতীয় ঘটনা যদিও আপেক্ষিক। ই-ম্যাগে ভবিষ্যৎ কী সে তো সময়ই উত্তর দেবে! কিন্তু এই ১০০ দিনের মূল্যায়নও যথেষ্ট দাবি রাখে। বাংলা সাহিত্যপ্রেমী মানুষজনের কাছে দৈনিক ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের সাহিত্য-সম্ভার হাতের মুঠোয় তুলে দিয়েছে। এই ১০০ দিনে বাংলা ভাষা-কর্মীদের যাবতীয় সৃষ্টি কর্মকে এপার-ওপার-অপার বাঙালির কাছে পৌঁছে দেওয়া কম কৃতিত্ব নয় ! স্যালুট টিম Tech Touch টক। এগিয়ে চলুক “Tech Touch টক”। সঙ্গে ছিলাম।সঙ্গে আছি। সঙ্গে থাকবো। আসা -যাওয়া তো জগতের চিরায়ত রীতি। সে আক্ষেপ গ্রীনরুমেই থাকুক আপাতত । শুভেচ্ছা অভিনন্দন……

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।