জন্মদিনে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন: রম্যাঁ রলাঁর (১৮৬৬ – ১৯৪৪)
বিশ্ববিশ্রুত নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক মানবতাবাদী দার্শনিক, শান্তি আন্দোলনের মহান উদ্গাতা রম্যাঁ রলাঁ (১৮৬৬ – ১৯৪৪) এর আজ জন্মদিন।
রম্যাঁ রলাঁ তার বিপুল উপন্যাস ‘জঁ ক্রিস্তফ’ এর জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। সালটা ১৯১৫।
রম্যাঁ রলাঁ তাঁর এই রচনা তৈরি করতে সময় নিয়েছিলেন। ১৯০৪ থেকে ১৯১২ অবধি এই উপন্যাস তিনি লিখেছেন। আদৌ উপন্যাস না অন্য কিছু এই নিয়ে ভাবিত ছিলেন।
দশ খণ্ডে তৈরি এই উপন্যাস এক জার্মান সুরসাধকের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গীর কথা বলে, যিনি ফ্রান্সকে তার দ্বিতীয় বাসভূমি হিসেবে গ্রহণ করবেন। এই সূত্রে সঙ্গীত ও সংস্কৃতি নিয়ে নিজের মতপ্রকাশ করেছেন রলাঁ, আর জাতিতে জাতিতে সম্পর্ক বিন্যাস কি রকম হবে সে কথাও ভেবেছেন।
Jean-Christophe (১৯০৪ ‒ ১৯১২) উপন্যাস লেখার জন্য রম্যা রল্যা ১৯০৫ সালে Prix Femina পুরস্কার পেয়েছিলেন। Gilbert Cannan এই দশ খণ্ডে লেখা Jean-Christophe ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। ১৯১১ থেকে ১৯১২ সালে এই ইংরেজি অনুবাদ লোক সমক্ষে আসে।
Jean-Christophe এর দশটি খণ্ডের বিন্যাস এই রকম
L’Aube (“Dawn”, 1904)
Le Matin (“Morning”, 1904)
L’Adolescent (“Youth”, 1904)
La Révolte (“Revolt”, 1905)
La Foire sur la place (“The Marketplace”, 1908)
Antoinette (1908)
Dans la maison (“The House”, 1908)
Les Amies (“Love and Friendship”, 1910)
Le Buisson ardent (“The Burning Bush”, 1911)
La Nouvelle Journée (“The New Dawn”, 1912)
অনেকে এই বইয়ের প্রথম চারটি খণ্ডকে Jean-Christophe বলেন, পরবর্তী তিনটি খণ্ডকে Jean-Christophe à Paris বলা হয়, আর শেষের খণ্ড তিনটিকে La fin du voyage বা যাত্রাশেষ বা “Journey’s End” বলেও চেনেন কেউ কেউ।
Jean-Christophe Krafft নামে এক জার্মান সঙ্গীত ভাবুকের কথা বলেন রলাঁ। এই ক্রিস্তফই তার গল্পের মূল চরিত্র। ক্রিস্তফের শৈশব থেকে গোটা জীবনের উপাখ্যানটি বলেছেন রলাঁ। নিজের ভিতরের প্রতিভার মহত্ত্ব যে মানুষ জানে, অথচ খিদে মেটাবার দুটি রুটি যোগাড়ের জন্য, আপনজনেদের দেখভাল করার সঙ্গতি যোগাড়ের জন্য তাকে যে কতদূর সমস্যায় ও যন্ত্রণায় পড়তে হয়, ক্রিস্তফের হয়ে সেই সব কথা কয়েছেন রলাঁ।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেও তাঁর সৌহার্দ্য হয়েছিল। Jean-Christophe বইয়ের একটি অনুবাদ বাংলা ভাষায় আছে। রলাঁর আরো একটি বই আছে, ভারতবর্ষ।
রলাঁ ভারত সম্পর্কে শ্রদ্ধাবান ছিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দ নিয়েও রলাঁর উল্লেখযোগ্য পুস্তক রয়েছে। শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত বা গসপেল নিয়েও রলাঁর একটি ইংরেজি বই আছে।