• Uncategorized
  • 0

গুচ্ছকবিতায় সুবীর ঘোষ

অসিদ্ধান্ত

যাব না ওই দিকে । যাব এই দিকে ।
হাসপাতাল যেতে গিয়ে চলে গেছি মুরগিহাটায় ।
স্কুল না গিয়ে নদী । ভোজবাড়ির পথ ভুল করে শ্মশানে ।
এরকম কতই হয়েছে ।
মনের আঠা ভাঙতে গিয়ে এনেছি হাতভর্তি কাঁকর ।
পা রাঙানোর রঙের বদলে কিনে এনেছি হাজার ওষুধ ।
আমি এক ভ্রমাত্মক । আমি গোটা একটা ভুল ।
ফুটবলের মতো গোল নিয়ে খেলেছি কৈশোরে ;
জীবনটা গোলকের মতো গড়িয়েই গেল সর্বদা ।
বর্গক্ষেত্র আয়তক্ষেত্র চিনতে পারিনি ।
মিশব ওর সঙ্গে । মিশব না তার সঙ্গে ।
অসিদ্ধান্তে ভুগে গেছি চিরকাল ।

দূরান্তর

মাটি তো জমাটই আছে , তাকে খুঁড়ে
উইপোকা কেন তুলে আনো
বুঝতে পারি না কোথায় আমার চোখ
হাতপায়ে সাড়াশব্দ নেই ।
বেদনার নীল ঘর পড়ে আছে
পরাজিত হরিণ আকারে ।
মারীচের সুসংবাদ আমাকে অপেক্ষায় রেখে
আগুনের ঝড় জমা হয় ।
ভূমির গভীরে নেমে আমি ব্রাত্য সাজি
সকাল বিকেল আসে মোচ্ছবের ভাসা গন্ধ নিয়ে
এমন বাহারি আশা গোপনে ও সংগমে
দূর থেকে দূরান্তর দেখে ।
আবরণের কৌতুক তুলে
তোমার কী ইয়ে নেই , কুসুম ?
আমি এক কাজফুরোনো ঢেঁকি
চোখের ওপর আমড়াকাঠের কালশিরে…
আমাকে একবাটি ঘ্রাণ এনে দেবে , কুসুম ?
উত্তরের হাওয়া বইলে আমার শিরদাঁড়ায় ভূত বসে
আমি হেঁটমুণ্ড দুলি
শয়তানের বাপগুলোকে ধরে পাঁপড়ের মতো বেলতে যাই
কুসুম বলো এসব কী তোমার একার কাজ !
চানঘরে যে না কী নানগ্না না থেকে পারে না
সে-ই কী না নদী থেকে শূন্য আবরণে
শশব্যস্ত উঠে গিয়ে হাজির হয়েছে ফেসবুকে
বোধ করি সে সেই দেবী নয়, তার মতো অন্য কেউ…
কুসুমও জানে না ।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।