• Uncategorized
  • 0

গুচ্ছকবিতায় বিদ্যুৎ রাজগুরু

১। জিরাফের নাগালে ? 

কী করলে কী হবে কোথায় মিলবে হিসাব
কেউ তো জানে না আজ
নীল গ্রহে এহেন অসুখ অবাক দুনিয়া
ভেঙেছে ভালোবাসার তাজ৷
নীরোগ পৃথিবীর কামনায় সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বলে ঘরে
আরাধ্য করব কার? দুনিয়া কাঁপে যখন জ্বরে
এমনটাই হওয়ার ছিল কিংবা নয়
কে দেবে বাঁচার নতুন দিশা যখন মানুষ নয়ছয়
স্বপ্ন শুধু আছে পড়ে কোথাও নেই সবুজ জমিটুকু তার
আকাশ জানে কি এসব কথা
বাতাস শুনছে তো সব ব্যথা
গণ্ডি কেটেছি নিজ হাতে অবিরাম
মুখের মুখোশ খসে পড়ে
মুখ না দেখিয়ে বাঁচার লড়াই করেছি চিরকাল৷
পথ তো শেখায় হতে সচেতন
পাখিদের পাঠশালায় যাইনি বহুদিন
ব্যস্ত ট্রাফিকের ভিড়ে করেছি অনশন
জানে কি সেসব কথা সন্ধ্যা তারা কিংবা সূর্যহারা বন
নিষ্ঠুর কতটা হলে পাখিদের কলতান থেকে দূরে থাকা যায়৷
মেঘের খামখেয়ালিপনায় যখন বৃষ্টির পর্দায় সরে যায় মন৷
শস্যের বপনের টুকরো জমি উধাও কোনখানে
বুনো অহংকারি খরগোসের রুদ্ধশ্বাস দৌড়
থমকে যায় পৃথিবীর উঠোনে ৷
বন্য সুবাসকে বন্দী করেছে যারা যন্রণায় এতকাল যেখানে
তারা তো অসহায় চিরকাল সেখানে৷
পাপ সেকি আর হিসাব চুকায়
ভয়ঙ্কর ভাইরাস নির্মাণ ভেঙে
চলো যাই অসময়ের আগুন নিভায়
আমি তো সাদাসিধে বুঝিনা সাতপাঁচ কথা
খাই ঘুমায় চুরি করি সুখের কথকথা৷
ফের পৃথিবী বসুক বৈঠকে
মুখোশের ঠোঁট নির্বাক
বরং চলো ফিরে যাই আদি গুহার দিকে আবার ৷
যেখানে বন্য কুসুম ফোটে দুচোখে
বিষের পিয়ালা ফেলে চলো যাই তার কাছে
সব সবুজও থাকে কি আর জিরাফের নাগালে?

২। ঘুম ভেঙে যায়

আজকাল ভোর রাতে ঘুম ভেঙে যায়
দেদার সময় লুটোপুটি খায় প্রিয় বিছানায়
আলো তো এতটুকু
পালঙ্কের খুব কাছে সাহসী শালিক আসে যায়
এখন ঘুম ভেঙে যায় ভোর রাতে
স্বপ্নের শ্যাম্পেন ভাঙে আদিম উত্থান
নিগুঢ় আঘাতে
স্নায়ুতন্ত্রীতে সজাগ হয় রাতের পাশফেরা
অহংকারী খরগোশের মতো আমি থমকে দেখি
স্তব্ধ জলাধারে রাতের শহর
গারদের মতো আবদ্ধ ঘরে দেখি সব কিছু প্রাণহীন হয়ে ওড়ে৷
জংলী পশুর ডাকে ত্রস্ত হরিণের মতো লুকিয়ে রাখি নিজেকে৷
তবুও স্বপ্ন দুচোখে খুঁজি নিরোগ জ্যোৎস্না পরীদের
যদি ফের আসে এ তল্লাটে৷
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।