আলাউদ্দিন খাঁয়ের গানে মত্ত সময় কাটে
ভোরের আলোয় নেমে আসেন গোয়ালন্দ ঘাটে
চাঁদের দেশের মুন্সি গ্রামে একলা থাকেন তিনি
পরীর পালক হীরের ঝালর করেন বিকিকিনি।
এসব দেখে মোল্লা নাসির বেজায় হলো হুপিং কাশি
সাজাহানের বাপের মাসি জানি সে যে লখনোবাসী
আমীরসাহী লুকিয়ে সেসব দেখেন রাত্রিদিনে
নিলেন তিনি এক হাবেলি নগদ টাকায় কিনে।
মোল্লা বলে আসরাফি দাও সঙ্গে কিছু ফাউ
নবাবজাদা খিদের চোটে খেলেন কিনে চাউ।
খেয়েই তিনি লুকিয়ে থাকেন অযোধ্যার এক ধামে
মোল্লা সেটা কুড়িয়ে পেলো নীল রংয়ের এক খামে।
কপাল আমার বড্ড খারাপ
কপাল আমার বড্ড খারাপ গ্রহের রকম ফেরে,
বিলাপ শুনে দাদু আমার বলছে ডেকে কে রে!
উঠোন জুড়ে সকালবেলায় কান্না শুনি একি,
ঘরের থেকে বেড়িয়ে আমি অবাক হয়ে দেখি।
বিশ টাকা ধার নিয়েছিলেন পাশের বাড়ির মেশো
এখন সেটা সুদ আসলে হয়েই গেছে দু’শো।
দাদু বলেন ধার নিয়েছো এখন কেন কান্না,
শোধ করোনি সবই গেছে বন্ধ রান্না বান্না।
সুখে থাকতে কিলোয় ভূতে ধারের টাকায় খেলা,
বোঝ এবার সুদ কত হয় বুঝছো তো এই বেলা।
লাগতো টাকা বলতে আমায় দিতাম তোমায় আমি,
আমার থেকেও সুদখোরেরা ভীষণরকম দামী!
বলেন দাদু কপাল তোমার সত্যি গ্রহের ফেরে,
কুড়ি টাকা সুদের ঠেলায় দু’শোর অংকে ঘোরে।
ন্যাপলা মুদির সুদের খাতায় এমন অনেক আছে
বলছে না কেউ মুখ ফুটে আর ধরা পড়েন
পাছে!!
সেই ছেলেটার উঠোন জুড়ে
শুধু ভাতে নুন মেখে খায় লজ্জা কিছু কম না,
চুপ করে রয় এদেশ ওদেশ লুকোচ্ছে মুখ রমনা।
ওপার থেকে ডাকলে আমায় গাঙ্গশালিকের গানে
এপার থেকে সুর ভেসে যায় নদীর স্রোতের টানে।
বনশ্যাওড়ায় আটকে থাকা রাতের নরম মাটি
শিশির ঢাকে পলাশ বনে মেঘের শীতল পাটি।
শালের পাতা বস্তা দিয়ে সেই ছেলেটার বাড়ি
দিচ্ছে না ভাব সবার সাথেই অভিমানের আড়ি।
আমার তোমার ঘরে রোজই যাচ্ছে বেচে খাবার,
কি হবে ছাই এদের দিয়ে মানুষ নাকি আবার!
গঙ্গা দিয়ে যাচ্ছে ভেসে পেঁয়াজ রংয়ের শাড়ি,
আমার দেশে এসব দেখে অবাক লাগে ভারি।
সেই ছেলেটার উঠোন জুড়ে এপার ওপার গড়া,
কাঁদছে মানুষ এপার ওপার দুঃখে জীবন ভরা
শুকনো ভাতে নুন মেখে খায় লজ্জা কিছু কম না,
আমার দেশের রং তামাশায় মুখ ঢেকে রয় রমনা।
পাঁচমিশালি ছড়া
ওরে ভাই শাম্ব
উঠেছি যে গাছটাতে
কি করে যে নামবো।
ফুল তুলি আটটা
মাথায় কে মেরে গেল
গোটা তিন গাট্টা।
হেকিমের পাঁচিনে
কাশিটা যে বেড়ে গিয়ে
আর বাবা বাঁচিনে।
এখন যদি তোমায় ডাকি আকাশ ভারী সন্দ করে
ধুতরা ফুলের কন্দমূলে উজান গাঙ্গে জড়িয়ে ধরে
মৃত নদীর বুক চিড়ে আজ রামধনুকের কাজল আঁকা,
তোমায় আমি ডাকলে পরে স্পষ্ট দেখি হাতের রেখা।
তক্ষশিলার ধ্বংস স্তুপে জ্ঞান দিয়েছে মানুষজনে
সিন্ধু কেবল কেঁদেই গেছে নিজের দোষে আপনমনে
তোমায় ডাকি আকাশ থেকে কালোমেঘের আস্তরনে
কুন্দ বনে একলা আলোয় জ্যোৎস্না জানি প্রহর গোনে।