নীল ওড়নাটা একটু একটু করে আবছা হয়ে আসছে মোঘল সাম্রাজ্যের মতো। একটু একটু করে সময় বেয়ে হেসেই চলেছে মন। মানতে না চাইলেও এভাবেই না হয়ে যায় ওর পাওয়া গুলো। পাওনাদারেরা ছেঁকে ধরে অলিগলিতে কিন্তু দেওয়া গুলো যে শেষ একেবারেই।রাতজোনাকি বেয়ে শেষ নিঃসঙ্গ আশ্বাসটাও একটু পরে ভোর হয়ে আসবে।বাসি রাতপোশাকের মতো মোহরবাগিচা থেকে ঝরে যাবে অসমায়ের সমাপ্ত ফুলগুলো। এভাবেই সকাল আসে ওদের রূপনামা শহরের জোনাকিপাহাড়ে।প্যাকেট প্যাকেট ধোঁয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে আঁচল ঢাকা গ্রাম্য কথকতার কত সব কথা আর ঐ যে নীল ওড়না ঢাকা মোঘল সাম্রাজ্যের চূড়া
আবছা অন্ধকার ভেঙে স্বপ্নালু চোখে জেগে ওঠে শ্রী। একটা রূপবতী পাহাড়ীনি তখনও ওকে ডাকছে। কেমন যেন ঘোর লাগে- শহুরেপনাটা একটু একটু করে ভেঙেচুড়ে হালকা লালচে তরলে ঠোঁট ডোবাতেই দেখে রূপ এসে দাঁড়িয়েছে নীল পাঞ্জাবীতে। নীল ওড়না আর নীল পাঞ্জাবী কেমন যেন এক হয়ে যায় একপৃথিবীর মতো। প্রেমে পরা উন্মাদনায় ভালবাসতে ইচ্ছে করে যেমনটা পুকুরের জল আর হাঁসেদের থাকে, যেমনটা রাতনীলা আর জোনাকিভোরের থাকে।
ওরা চলছিল ঐ লালমোরামের সবজে ফুলেল রাস্তা বরাবর।একটা ঘন কালচে মেঘ আর আর দুএকটা সাদাটে গোঁড়ানো তরলতা ভেঙে খানখান করে দিয়েছে ওদের নিশ্চুপ যাপন। এমন করেই ওরা দুটো সত্ত্বা ছেড়ে হয়ে ওঠে একাত্ম, সেই সত্তরের দশকের একটা দুটো সিনেমার ন্যাকা ডাইলগের মতো মনোলগ আড়মোড়া ভাঙা সুন্দরী শ্রী হয়ে যায় পুরুষ-শ্রীরূপ আর রূপ পুরুষতান্ত্রিকতা ভেঙে পাড়ি জমায় আঁচলময় জগতে-নতুন এফিডেভিটে নাম হয় রূপশ্রী।
আসলে এটা কাহিনির হলে কথারা কম পরে আর কথা হলে কাহিনিরা।এই কথা-কাহিনির মাঝে থেকে যায় দুটো কথা বা একটাও নয় হয়তো। যেমন করে পুড়ে যায় ফুসফুসীয় বারুদ- এক নিমেষেই সব কালো করে দেয়, তেমনই এভাবেই বেয়ে যায় এ সদ্যযাপন, নাবিকসত্ত্বারা কিংবা কেবলই মানসিক স্থিতিরা…