• Uncategorized
  • 0

গদ্যে সোমঙ্কর লাহিড়ী

বাঘা তেঁতুল

যে কোন মা চায় তাঁর বাচ্ছা লেখাপড়া করে শিক্ষিত হয়ে উঠুক। আর পয়সাওয়ালা অশিক্ষিত বরের ভদ্র বৌ যদি হয় তবে তার এই ইচ্ছাটা তিনগুন বেশী হয়, আর সেটাই স্বাভাবিক। পিয়ালিও তার বাইরে যায়নি। আসলে হয়েছে কী এই মফস্বল এলাকায় টাকা কে কোন পথে কামাচ্ছে তার কোন হদিস থাকে না। আর একদল টাকা কামিয়ে নিয়ে সামনে একটি বা দুটিকে রাখে যাদের মাধ্যমে তাদের গোলমেলে পথে আসা টাকাগুলো নিয়ম মাফিক খাটতে ও ডিম পাড়তে সক্ষম হয়। এ পথে বিপদও আছে, বেইমানি করলে স্রেফ হাওয়া হয়ে যাবে, আর না করলে মোটামুটি ঠিক আছে, তবে সেই বান্ডিল ধারিদের সামনে কিন্তু সেলাম বাজাতেই হবে।
পরেশ ১৭ থেকে ২১ অবধি খবরের কাগজ ডেলিভারি করেছে, ২১ থেকে ২৪ অবধি দুখু প্রোমোটারের মালের হিসেব কষেছে। ২৪ থেকে ৩০ অবধি কানেকশান বাড়িয়েছে, আর ৩১ থেকে সে পুরদস্তুর প্রোমোটারি করে। মাঝখানে ২৮ বছর বয়েসে বিয়েও করে নিয়েছিল যাকে সে কথা দিয়েছিল তাকেই মানে পিয়ালিকে।
এরপরেই হয়েছে ঝামেলা। বেশ কয়েকটা বড় বাড়ি বানিয়ে, দুখু ফাইন্যান্সারকে ও তাদের সাঙ্গোপাঙ্গোকে নিয়মিত হিসেব বোঝানোর পরে তার ধারনা হল সে মাথা কিনে নিয়েছে, কে যে বেচেছে মাথা খোদায় মালুম।
ফলে হল কী পরেশ মোটর বাইক কিনে সাইলেন্সার পাইপ কেটে ফেলল, হাতে গলায় গরু দড়ির মত মোটা সোনার চেন পরে ফেলল, দশ আঙুলে বারোটা আংটি পরে ফেলল। সব ব্যাপারে মত দিতে শুরু করল। একটা রক্ষিতা রেখে ফেলল। আর তার পিয়ালির তার একমাত্র মেয়েকে এলাকার সবচেয়ে খরচ সাপেক্ষ ও নামী স্কুলে ভর্তি করে দিল। আর ছাত্রছাত্রীদের অনেকগুলোর বাপকে মদের পার্টনার করে ফেলল। গাঢ় প্রবেশ বোধহয় একেই বলে।
পিয়ালি কিন্তু মাটিতে পা রেখে চলার অভ্যাসটা ছাড়েনি। কিন্তু বাচ্ছা বাপ মা ও অত্মীয় স্বজন কে কী করছে খুব গভীর ভাবে নজর করে, আমরা বুঝতে পারি না। কিন্তু তারা তাদের রেকর্ডিং চালু রাখে। পরেশ আগে আদর করে বুড়ি, খেঁদি এই সব বলে ডাকত, মেয়ে কচি কচি গলায় তীব্র প্রতিবাদ করে সেটা অন্বেষা করে দিলমাত্র তিন দিনে। পরেশের মা ছেলের টাকা হওয়ার পরে ধরেই নিল এবারে ছেলের বৌকে হ্যাটা করলে কেউ কিছু বলবে না, ফল হল মেয়েও তার মাকে হ্যাটা করতে শুরু করল। পরেশ পাত্তাও দিল না পিয়ালির অভিযোগে। ও বাচ্ছা মেয়ে ঠিক হয়ে যাবে, বলে কাটালো। এই করতে করতে মেয়ে ছ’মাসে তিলে খচ্চর হয়ে উঠল, সেটা বুঝল শুধু পিয়ালি, ঠাকুমা অন্বেষার কাজে কথায় একেবারে ডগমগ, আর বাপে অন্ধ।
যে কোন বাচ্ছাদের স্কুলে বাচ্ছাদের মধ্যে নিজেদের জিনিস ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাস শেখানো হয়, ও আরো অনেক ধরনের সফট স্কীল শেখানো হয়, মদ্দা কথা তোমার প্রচুর যদি থাকে সবার সাথে একটু মিলেজুলে সেটা ভোগ করলে তোমার ভাগে কম কিছু হবে না। আর অন্য বাচ্ছারাও তোমারই মত ছোট, তোমার বন্ধু, তাদের ও ভালোবাসো এইসব ভদ্রলোক হওয়ার শিক্ষা দেওয়া আরকি।
তা বাচ্ছা যদি তিলুয়া হয়, সে খাপ খুঁজবে সেটা বলাই বাহুল্য। সে ক্লাসে যেটা শেখানো হয়, যেমন আজকে তোমার পেন্সিল বক্স থেকে একটা পেন্সিল তোমার বন্ধু রহিতকে দাও, পরের দিন রোহিতকে বলা হল তোমার পেন্সিল বক্স থেকে রবার অন্বেষাকে দাও। এইরকম। মেয়ে পেন্সিল রোহিতকে দিল, বাপকে স্কুল থেকে ফেরার সময় বলল, রোহিত আমার পেন্সিল নিয়ে নিয়েছে। বাপের মাথা চড়াৎ করে উঠল। কেন তোর থেকে নিল কেন? জানিনা বাবাই। পরের দিন যে রোহিত তাকে তার পেন্সিল দিল সেটা চেয়ে গিয়ে বলল, আজ রোহিত রবার নিয়ে নিল। আবার বাবার মাথা চড়াৎ।
পরেশ পিয়ালিকে বাড়িতে বলল, দেখো তো কাল স্কুলে, সবাই নাকি অন্বেষার জিনিসপত্র নিয়ে নিচ্ছে। পিয়ালি পরের দিন জেনে এসে বলল, ও কিছু না ক্লাস টিচার শেয়ারিং শেখাচ্ছেন, কথা হয়েছে ওনার সাথে। পরেশের মা সাথে সাথে ফুট কাটল, বৌমা আমার দিদিভাইয়ের জিনিসপত্র কেড়ে নিয়ে এ কেমন শিক্ষে দিক্ষে হচ্ছে স্কুলে, নেহাত আমার পরেশের টাকার অসুবিধা নেই তাই, অন্য মা বাপ হলে তো এতদিনে সুতো বেরিয়ে যেত। বুঝিনা বাপু। ঠিক আছে মা আমি তো দেখছি ব্যাপারটা। আপনি অত দুঃশ্চিন্তা করবেন না। আমার পরেশের রক্ত জল কথা টাকা বৌমা, তুমি এর মর্ম না বোঝো আমি তো আর চোখ উলটে থাকতে পারি না। তাই না?
মেয়ে বুঝল ঠাকমা আর মায়ের লড়াইয়ে মা একটু ব্যাকফুটে। দাপটে ঠাকুমা একদম একঘর। এবারে অন্বেষার স্ট্র্যাটেজি হল, মাকে না বলে বাবাই আর ঠাকুমার কান ভারি করা। আজ রোহিত, তো কাল পুজা, তো পরশু ত্রিদেব, চোরাগোপ্তা নালিশ চলতেই থাকল। মা পাত্তা দেয়না, বাপ দু একবার হুড়ুম দুড়ুম চেঁচিয়ে তারপরে কাজে বেরিয়ে যায়, তখন ঠাকুমাই ভরসা। আর ঠাকুমা দেখল পিয়ালিকে ঘা মেরে কাজ হচ্ছে না, তাই ছেলের কাছে ইনিয়ে বিনিয়ে শুরু করল, তুই বাবা মেয়েটাকে ইস্কুলে নিয়ে যাওয়া আসার কাজটা কর, কারা ওকে এমন তর অত্যাচার করছে তার একটা বিহিত কর। মেয়ে তো তোরও নাকি?
পরেশ একটু ধন্ধে পরে গেল। পিয়ালিকে জিজ্ঞসা করলে সে বলছে, বাচ্ছাদের ব্যাপারে আমাদের বাবা মায়েদের বাড়িতে দেখা শোনা করাই ভালো ইস্কুলে ম্যাডামরা রয়েছেন তারা ঠিক দেখা শোনা করবেন, তুমি ঐ নিয়ে ভেবো না। খারাপ কিছুই শেখাচ্ছে না। আর আমাকে তো কিছু বলছে না। আর স্কুলের সামনে ওদের ক্লাসের অন্য বাচ্ছাদের মায়েদের সাথে কথা বলে দেখেছি, এই ব্যাপারে তো কেউ কিছুই বলছে না। কিন্তু ঘ্যানঘ্যানানি আর কাঁহাতক ভালো লাগে। তায় আবার মেয়ের ব্যাপারে। পরেশ স্ট্র্যাটেজি ঠিক করল।
অন্বেষাকে স্কুলে যাওয়ার পথে জিজ্ঞাসা করল কোন ছেলেটা তোর টিফিন কেড়ে নেয়, পেন্সিল কেড়ে নেয়, আমাকে দেখাস তো। মেয়ে আহ্লাদে আটখানা হয়ে দেখাতে শুরু করল, ঐ দেখ, রোহণ, ঐ দেখ পিয়াসা, ঐ দেখ মহুল, ঐ দেখ তিতির, ঐ দেখ অভিনভ। এ পেন্সিল, ও রঙের বাক্স, ও টিফিন, ও বই, এ খাতা, ও গোটা পেন্সিল বক্স, এ গোটা টিফিন বক্স। সে একেবারে হৈ হৈ ব্যাপার, রৈ রৈ কান্ড।
পরেশ বুঝল তার মেয়ের উপর প্রবল ডাকাতিই করে চলেছে তার ক্লাসের বন্ধুরা, আর তাতে মদত দিচ্ছে ম্যাডামরা।
মেয়ে ক্লাসে ঢুকে যাওয়ার পরে হেড ম্যামের কাছে গেল পরেশ নালিশ জানাতে। তিনি তার জাভেরিয়ান অ্যাটায়ার, অক্সফোর্ডিয়ান অ্যাক্সেন্ট, আর থারুনিয়ান ভোক্যাবসে এমন প্রশ্ন করতে শুরু করলেন যে পরেশের খুব খুব কষ্ট হতে শুরু করল, খোদ বাংলায় বসে সে বাংলায় নিজের নালিশ জানাতে পারবে না? প্রায় মরিয়া হয়ে যখন নিজের বক্তব্য বাংলায় বলতে চাওয়ার আর্জি জানাল পরেশ, হেড ম্যাডাম তাচ্ছিল্যের স্বরে পরিষ্কার বাংলায় বললেন, মেয়েকে আমাদের স্কুলে দিয়েছেন যাতে সে ইংরাজিতে ভালো হয়, তা মেয়ে আমাদের কাছে থেকে পাঁচ ঘণ্টা আর উনিশ ঘণ্টা থাকে আপনাদের কাছে, তার আট ঘণ্টা সে ঘুমোয়, বাকী এগারো ঘণ্টা যদি সে আপনাদের বাংলা শোনে তাহলে তো তার ডুয়েল ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাক্সেপ্টেন্সের প্রবলেম দেখা যাবে। কী করছেন আপনারা? পেরেন্ট হিসাবে নিজেদের দ্বায়িত্ব পালন করতে পারছেন না এসেছেন স্কুলে দোষ ধরতে?
পরেশ বুঝল এখানে ডাল গলানোর থেকে একুশ শরিকের বাড়ি হাতিয়ে প্রোমোটিং করা সহজ। রণে ভঙ্গ দিয়ে প্ল্যান বি নিল পরেশ।
প্রতিটা গার্জেন কে চিনে নিয়ে তাদের পথে ঘাটে যেখানে দেখতে পেলো, সেখানেই চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করল, আপনার ছেলে বা ক্ষেত্র বিশেষে মেয়ে, আমার মেয়ের পেন্সিল, টিফিন, ওয়াটার বটল, প্যাস্টেল বক্স, কেড়ে নেয় কেন? নিজেরা কিনে দিতে পারেন না? দরকার পড়লে আমাকে বলবেন, আমি কিনে দেবো।
বাপ মেয়েরা তো একগাল মাছি। তাদের ছানাদের তো সব কিছু দিয়েই তারা স্কুলে পাঠায়। আর তাদের বাচ্ছারা এক্সট্রা কোন কিছু নিয়েও আসে না বাড়িতে। তাহলে?
জনা দশেক গার্জেন বার ছয়েক পরেশের এই আক্রমণ তথা অপমানের পরে এককাট্টা হয়ে গিয়ে হেড ম্যামের কাছে চলে গেল এবারে সে দলে জাভেরিয়ান অ্যাটায়ার ওয়ালা/ওয়ালি, অক্সফোর্ডিয়ান ও থারুনিয়ান সামলানোর মত গার্জেন ও মজুদ। ফলে ব্যাপারটা আর অত সোজা হল না হেড ম্যামের কাছে।
খাপ তো এবারে বসাতেই হবে। তবে খাপ বসানোর আগে ম্যাডাম সবাইকে বললেন আগে তাহলে আমাদের ক্লাসের সিসি ফুটেজ দেখে নেওয়া যাক? সমস্বরে, যাক যাক। ক্যামেরা নির্বিকার ভাবে দেখিয়ে চলল, ক্লাসের কচিকাঁচাদের পড়া শোনা, হাসি গান, হৈ হৈ খেলা সব, কিন্তু কেড়ে নেওয়া বা লুঠ তরাজের কোন কিছুই নেই।
এবারে গার্জেনরা পরেশকে পাকড়াও করল। তারা তো সিসি ফুটেজ দেখেছে। কিন্তু যার সদ্য কাঁচা টাকা হয়েছে, কানেকশান হয়েছে তাকে গলার তোড়ে, অথবা নির্লজ্জতায় হারনো সত্যিই কঠিন। একলা জগাই গলার তোড়ে সাত পালোয়ান নয় একবারে দশ পালোয়ানকে হারিয়ে বাইক ভটভট করে বেরিয়ে গেল।
এরপরে গোলমালটা আরো খানেক পাকিয়ে গেল। পরেশ আর পিয়ালি একদিন সকালে দেখল তাদের বাড়িতে প্রায় কুড়ি কিলো শশা পাঠানো হয়েছে। আগের থেকেই পেমেন্ট করা, তাই অনলাইন পোর্টাল থেকে যে শশা নিয়ে এসেছিল সে ফেরত না নিয়েই চলে গেল, রসিদ ধরিয়ে দিয়ে। তার পরের দিন কলা, সে একেবারে কাঁদি কাঁদি কলা দেখে মনে হবে ছট পুজো। এবারে পরেশ চেল্লালেও একই অবস্থা। বিল পেড। কে পাঠাচ্ছে সেটা বলতে পারছে না ডেলিভারির ছেলেটা। তাকে ধমকে চমকে কিছু হচ্ছে না, মোটের উপর পাত্তাই দিচ্ছে না পরেশকে।
এর পরের দিন আঙুর, তারপরের দিন বেদানা, তারপরের দিন টিফিন কেক, তারপরের দিন পেন্সিল বক্স, তারপরের দিন, ওয়াটার বটল। পরেশের বাড়ি একদম ভরা ভর্তি অবস্থা, আর গ্যাঁড়াকল হয়েছে, বাজারের কেউ বা কোন ষ্টেশনারী দোকানের কেউ ওসব জিনিস কেনা তো দূরের কথা ফ্রীতে দিলেও নিতে রাজী নয়। বাড়িতে পা ফেলার উপায় নেই পরেশের পিয়ালির অন্বেষার আর তার ঠাকুমার। বয়স্ক ঠাকুমা আমি বাবা কিছু জানি না গোছের বক্তব্য দিয়ে পিয়ালির ঘাড়ে গছাতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে থেমে গেল। পরেশ গার্জেনদের দোষি ঠাউরে তাদের কাছে তোম্বা করতে গেল। কিন্তু আগেরদিনের ফল সকলের মনে আছে, পরেশের মোটরবাইক থামার সাথেসাথে গার্জেনরা যে যার মত ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেল। কথাটা বলবে কার সাথে? হেড ম্যাডামের কাছে যাওয়ার সাহস নেই, যদি ইংরাজীতে কড়কে দেয় তাহলে তো বুঝতে অবধি পারবে না ভালো বলল না খারাপ। সব রাগ গিয়ে পড়ল মেয়ের উপর। আদরের মেয়ে কিছু বলতে গেলেই ঝাড় খেতে শুরু করল।
পরের দিন এলো পাঁচশ স্কুল ব্যাগ। এবারে পরেশ আর থাকতে না পেরে সেই ডেলিভারি দেওয়ার ছেলেটাকে তড়পে বলল, চল আজ তোর মালিকের একদিন কি আমারই একদিন। সে পাত্তা না দিয়ে ব্যাগের বড়বড় গাঁঠরি লোক দিয়ে পরেশের ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে ভ্যান নিয়ে চলল।
পরেশ বিলের ঠিকানা দেখে বুঝল তার বাড়ি থেকে হাফ মাইলের মধ্যেই এই অন লাইন ডেলিভারির অফিস। মোটর বাইক ভটভট করে গিয়ে হাজির হয়ে রিশেপশানের সুন্দরী কে চমকে বলল, মালিক কে বল পরেশ এসেছে প্রোমোটার পরেশ। মেয়েটা একটা চেম্বারের দরজা দেখিয়ে দিল।
পরেশ সারা জীবনে এত বড় একগাল মাছি হয়নি। ভেতরে এসি চালিয়ে বসে দুখুদা। শালা প্রোমোটার ছিল, ফাইন্যান্সার হল, এটা কী?
দুখু হেসে বলল, আয় আয়, ভাবছিলাম কবে আসবি তুই। দাদা তুমি? এখানে? মানে ব্যাপারটা…
আরে জামাইটা বলল, বাবা বসে বসে কি শরীর খারাপ করছেন, একটা স্টার্ট আপ না কি খুলে দিচ্ছি অফিস নিয়ে চালান। সময়ও কাটবে, আমদানিও হবে। তা বুঝিয়ে সুঝিয়ে দিল সব দেখলাম আরে বাহ, ভালো ব্যবসা।
তা দাদা আমার বাড়িতে এত জিনিস পাঠানোর অর্ডার কে দিচ্ছে যদি একবার বল, শালা জিনা তো হারাম করে দিল।
ওসব আমিই পাঠাচ্ছি। তুই তো জানিস না, আমার নাতি তোর মেয়ের সাথে এক ক্লাসে পড়ে। সেদিন আমার মেয়ে জামাই বলছিল, কে এক প্রোমোটার পরেশ না কি যেন নাম, তাদের সবাইকে খুব হেনস্থা করেছে পাঁচ পাবলিকের সামনে। তার মেয়ের জিনিসপত্র চুরি ফুরি করছিল নাকি ক্লাসের অন্য বাচ্ছারা। ওরা সিসি ফুটেজ দেখেই তোর সাথে একটা ফায়সালা করতে গেছিল। তা তুই তো দেখি এখন কারো কথা শুনিস না, না অন্য গার্জেনদের, না স্কুলের দিদিমণিদের, না নিজের বৌয়ের। সব খবর নেওয়ার পরে ভাবলাম একটু গান্ধিগিরি করি তোর সাথে।
দাদা মানে…
পরেশ ধান্দায় নেমে কখনও ভুলবি না বাপের ও বাপ থাকে। আর কাল থেকে স্কুলের আশেপাশে তোর থোবড়া দেখা গেলে পরের প্রোজেক্টগুলো খোয়াবি। আর ছোট বাচ্ছা যদি কান ভারি করে আর তুই নাচিস তাহলে বাড়িতে বৌ আছে কি করতে? ওসব ওদের ব্যাপার।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।