একটা কথা ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে যে “ভালোবাসা” কথাটার আসল অর্থ কী?
পথে ঘাটে হাটে মাঠে “ভালোবাসি” বললে সেটাই ভালোবাসা হয়ে যায় নাকি আলাদা কিছুই। আসলে অদ্ভুত কয়েকটা ব্যাপার আজকেই ঘটে গেল তাই ভীষণভাবে জানতে ইচ্ছে করছে যে ভালোবাসা ঠিক কী জিনিস হয়।
সকাল থেকে চূড়ান্ত ব্যস্ততাতেও কোথাও যেন “ভালোবাসি” শব্দ মিস্ করেছি।শব্দটা উচ্চারণ হয় দিনের বহু সময় তবে কোনোটাতেই শ্রী থাকে না বা হয়তো আমি খুঁজে পাই না,খুঁজতে যাই বলেই। হয়তো না খুঁজলে শ্রী খুঁজে পাওয়া যায় সব শব্দের মধ্যেই যাদিও বাচনভঙ্গি এবং কন্ঠস্বর দুটোই পরিচিত হলেও”ভালোবাসি ” শব্দটা আনকোরা লাগে এই উচ্চারণ গুলোতে। কেন জানি না শব্দটার মধ্যে অদ্ভুত একটা অদৃশ্য মাদকতা আছে- শুনলেই সেই লালচে ছবিটা প্রকট হয় , এমনকি চোখ বন্ধ করলেও। এরকম হতেই থাকে শুধু একটা শব্দের জন্য।
স্কুলের বাচ্চাদের যখন ওদের মা রা নিতে এসেছিলেন আজ ওরা কিছুতেই বাড়ি যেতে চাইছিল না। একটু অস্বাভাবিক হলেও কারণটা আমি।ওরা নাকি আমার সাথে বিকেল ওবধি রুমালচুরি খেলবে।বিচ্ছুগুলোর সাথে কয়েকটা ঘন্টায় এতটা আত্মিকতা বাড়বে ভাবিনি।এতটা কাছের ভেবে বাড়ি ফেরার সময় প্রায় শ দুয়েক বাচ্চা পায়ে হাত রেখে প্রণাম করে গেছে। আমি ভেবে পাইনি ওদের কী আশীর্বাদ করব। শুধু ভেবে বেশ হাসিই পেল যে আমি যে শব্দটা সারাদিন খুঁজে বেড়াই ওরা খুঁজে পেয়েছে আমার মধ্যে। কিন্তু আমার খোঁজের কেন শেষ নেই? কেন এত ফাঁকা লাগে? এত শূন্যতা কেন? উত্তরটা জানা নেই, হয়তো জানা হবেও না কখনও। এক জীবনে হয়তো খোঁজার জন্য একটু বেশিই কম সময়। তবে লাল ছবিটাতে যেমন আটকে ফেলেছি আমার ঘড়ির পূর্ণাবর্তন তেমনই রক্তের প্রতি ফোঁটার মৃত্যুতে গেঁথে নিয়েছি খোঁজার খেলাটা।
খেলাটা আদতে আমার নয়, শুধু ঘুঁটি সাজিয়ে অপেক্ষা করা আর ধূলো পরা চেসবোর্ডের ঝাড়পোঁছের পর কোনো ঘুঁটি একটু সরে এলে তাকে যথাস্থানে সরিয়ে আবার অপেক্ষা। যদি একবার ভুল করে হলেও শব্দটা উচ্চারিত হয় শুধু আমারই জন্য! আমি উদার গলায় অজান্তেই বলে উঠবো