• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক কোয়ার্কো ধারাবাহিক উপন্যাসে সুশোভন কাঞ্জিলাল (পর্ব – ১৫)

পনেরো

শ্রেয়ান খুব আপসেট। আমি বিস্মিত এবং হতবাক। জনিনা কি করতে হবে। একবার ভাবছি লুফথানসার আফিসে গিয়ে রেকর্ড চেক করব যে গত দশদিনের ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশন লিস্ট পাওয়া যায় কিনা? কিংবা ম্যাক্সমূলার ভবনে? আবার ভাবছি কি লাভ হবে? খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজার মতো পরিশ্রমই সার হবে। না কি ডাকাতি হওয়া ব্যাংকে একবার সাইট ভিজিট করে আসব? শেষপর্যন্ত ভেবে দেখলাম ডাকাতি হওয়া ব্যাংকে একবার যাওয়া উচিত। শ্রেয়ানকে বলাতে বলল ওর নাকি মুড নেই। ভাবলাম থাক ওকে আর ঘাঁটিয়ে লাভ নেই। আমার জন্যই বেচারা এত টানাপোড়েনে পড়েছে। একাই যাব ঠিক করলাম। এটা তো বোঝাই যাচ্ছে যে আমি বা আমরা এখন মার্কড। মানে আমরা কারোর অবসারভেসনে আছি। আমাদের ফলো করা হচ্ছে। আর বিশেষ করে শ্রেয়ানের বাইকও, এখন আমাদের পিছু নেওয়া লোকেদের কাছে পরিচিত বা যারা আমাদের দলে টানতে চাইছে।
ঠিক দুপুর দুটোয় ব্যাগে কিছু সরঞ্জাম নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলাম। হালতুর হিন্দুস্থান ব্যাংক আমার বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয়। কিন্তু আমি সোজা ব্যাংকে যাব না ঠিক করলাম। আমি মার্কড হয়ে যাওয়ায় সব সময়ই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অটোয় চেপে সোজা গড়িয়াহাট। একটু ঘোরাঘুরি করে সেখান থেকে ট্যাক্সি করে সাউথ সিটি মলে। কতটুকু লাভ হল এতে জানি না। একটি টিকিট কেটে মাল্টিপ্লেক্সের হলে ঢুকে গেলাম। একটা বস্তাপচা ফিল্ম চলছে। প্রায় হাউসফুল। টিকিট অনুযায়ী নিজের জায়গায়  বসলাম। ফিল্ম অলরেডি আরাম্ভ হয়ে গেছিল। তাই দেখলাম আমার পেছন পেছন কেউ হলে ঢুকল কিনা। হ্যাঁ ঢুকল, তিনবার। প্রথমে একটা কাপল, তারপর দুটো সিংগল লোক। ফাঁকতালে টয়লেট গেলাম ওখানে দরজা বন্ধ করে একটা গোঁফ আর দাঁড়ি লাগালাম। দুটোয় ফলস। ব্যাগ থেকে বের করে আর একটা গেঞ্জি চাপিয়ে নিলাম। বাথরুমে তখন কেউই ছিল না। আসলে অপ্র পক্ষের ক্ষমতাটাও যাচাই করতে চাইছি।
হল থেকে বেরিয়ে একটা ট্যাক্সি ধরে সোজা ব্যাংকের স্পটে গিয়ে পৌঁছলাম। তখন বাজে বেলা তিনটে। ব্যাংকের আশেপাশের এলাকা একেবারে সুনসান। ট্যাক্সিটা অবশ্য আগের সিগনালে ছেড়ে দিয়েছিলাম। সিকিউরিটি গার্ডকে নিজের আই। ডি. কার্ড দেখিয়ে বললাম যে অফিসিয়াল কাজে এসেছি। সিকিউরিটি গার্ড আমাকে ঢুকতে বাঁধা দিয়ে ইন্টার কমে ম্যানেজারকে ফোন করল। ম্যনেজারের পারমিশান পেয়ে আমাকে ঢুকতে দিল। নকল দাঁড়ি ও গোঁফ আমি আগেই খুলে নিয়েছি। নকল দাঁড়ি গোঁফ শ্রেয়ানের ট্রাংক থেকে জোগার করা। ওকে না বলেই নিয়েছি। এগুলি ওর জুলিয়াস সিজার নাটকের মেকআপ। ব্যাংক ম্যানেজার কেবিন থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে করমর্দন করে অভ্যর্থনা জনাল “ওয়েলকাম মিঃ চৌধুরী। উই সিরিয়াসলি নিড ইওর প্রফেশনাল এক্সপার্টইজ। নাউ গ্ল্যাড টু হ্যাভ ইউ এট আওয়ার ব্রাঞ্চ ইন সাচ এ মোমেন্ট অফ ক্রাইসিস।
ক্রমশ…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।