• Uncategorized
  • 0

কবিতায় মুহম্মদ মতিউল্লাহ

সার্কাস ময়দানে দুপুর

রোদের প্রখরতা তুমি কতটুকু জানো!
তোমার হাঁটাপথ আর শেষ হয়না…
পথের পাশে ঘরবাড়ির ছায়া ঝুঁকে পড়ছে
বাইক ছুটে যায়, মোটরের হর্ন
কিশোরকিশোরী পিঠে ব্যাগ ফেলে রাস্তায় নিরুত্তাপ  জটলা করে
সবুজ রুমাল  লাল রুমাল ওড়ে
রাস্তার পাশে পুরনো নিমগাছ, তার ছায়া ঘন হয়ে নেমে আসছে
একটু পরে বাতাস  আরও উদবিগ্ন হবে
নিমগাছ তোমাকে হাতছানি দেয়
ঐশ্বর্যময় বইয়ের দোকান তোমাকে হাতছানি
                                                          দেয়
তুমি পার হয়ে যাও দহনের বেলা।
এই দুপুরে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফিরে তুমি চুপচাপ বসো..
এখনই প্রণবেন্দু দাশগুপ্তের কবিতার বইয়ে চোখ রেখোনা..

শীতের কবিতা

গ্রীষ্মের দীর্ঘ বিকেলে যে কিশোরী প্রতিদিন আমার বাগানে খেলা করতে আসত
সে এখন তুষারাবৃত শীতঘুম
আমি সামান্য মানুষ এতদিন দীর্ঘ বিকেলকে খেলার সঙ্গী করেছিলুম
আজ একটি দুটি জীর্ণপাতা..শীতের বিকেল
দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।
এখন আমার তেমন কোনো স্বাধীন ব্যস্ততা নেই
শুধু হিমশীতল স্বল্পভাষিতা
আমি প্রতিদিন কিশোরীর হাতছোঁয়া সূর্যছায়া
অপেক্ষা-প্রহরী
হিমার্ত বিকেল বলছে, মাঘোৎসবের শীতে
সুধা আজও ফেরেনি দৈত্যের দেশ থেকে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।