কোট-আনকোট
যতটা দূরে সরাতে চাই
ঠিক ততোটাই কাছে টানো নিবিড়ভাবে।
মায়াটানে গাছকে জড়িয়ে
বুকে কান পেতে শুনেছি
মিথ্যে নয়-মিথ্যে নয় -মিথ্যে নয়!
দু’হাত শূন্যের বুকে ছড়িয়ে
চিৎকার করে বলছে
” আমায় নাও- আমায় নাও”
না-শোনার ভাণ করে,
এঁকে গেছি ফসিলের মায়া…
ক্ষত থেকে শুধুই ঝরতে দেখেছি
খাদ ও রঙ!
ফিরে তাকাইনি।তাকাই না।
অবশেষে ঘুমিয়ে পড়লে
গড়িয়ে পড়া আলতা রঙে
ঢালি লাল চন্দন
ভালো করে মিশিয়ে
সারা শরীরে মাখি পাগলের মতো!
গভীর ঘুমে তুমি তখন…
যতটা ঘৃণায় ভরাতে চাই
ঠিক ততোটাই অভিমানী
শিশুর মতো আঁচল টেনে
ভিজিয়ে দাও সবটা
নির্মম ভাবে পোড়াই আমার সমগ্র
শুদ্ধতাটুকু ছড়াতে চাই ফসলের গানে
ফকিরি মেজাজে হতে চাই ফেরার
অজয় কিংবা আমাজনের ধূসর-সবুজে…
আজো বোঝোনি, বোঝ না!
দিনেদুপুরে লুঠ করছো!
করেই চলেছ খেয়ালে!
বুক দিয়ে গুঁড়ো-গুঁড়ো করেছ
সমস্ত অভিশাপ নিপুণভাবে কেটেই চলেছো বোবা ছলের জাল…
আমার অসহায়তাটুকুও
গিলে নাও গোগ্রাসে
মনচোরা হয়েই বাঁ-দিকের পকেটে সেলাই করেই রেখেছ আমার সবটুকু
একশো আটটা নীল পদ্ম ফুটিয়েছ ভ্রূ-মধ্যেরেণু-রেণু এখন…