কবিতায় নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়

১)
রেখে দিই তাকে চোখের মণিতে ।
অরাজনীতির যে পাটিগণিতে
পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলালকে
বলে রাখি , দেখা করব কালকে
থাকে না কখনো সে কাল খেয়ালে
শহরতলির প্রাচীরে দেওয়ালে
মনে পড়ে , কত কালো স্টেনসিল
কাব্যচর্চা , হাতে পেনসিল
তাই কি আমার ঘুমের মধ্যে
মাতৃভাষার মুক্তগদ্যে
রয়ে গেল কার আকুল কান্না
রইব না আমি এ দেশে , আর না
এঁকে রাখি তাকে ধ্বনিতে , আখরে
তন্ত্রসভিলাষী শিশুরা যা করে —
২)
শঙ্খ ঘোষ , তা বেশ তো , ছিলেন । কেন যে এবার হর্ষ দত্ত !
খায়রু প্লেসের প্রান্তরে দেখি খোপ কেটে রাখা কিছুটা গর্ত ।
টিউবওয়েলটাও গর্তে রয়েছে। ডানদিকে, ছাদে ঘুরে তাকালাম—
দিগন্ত আর আকাশ সেদিকে , দেখবোই , যেন ছিল না শর্ত
বাথরুম আর শুখা কলপার , তার চেয়ে বেশি জিন্দাবাহার
আবছায়া ঘরে , যেন ঘুমঘোরে কিশোরী – বালিকা , শিশু দুটি বোন
সন্দেশ ওই দুজনেরই মুখে গুঁজে দিয়ে ভাবি ফিরব এবার
রহড়ায় । তার আগে টয়লেটে — দিদা চেঁচালেন , গেল কে এখন ?
বড়োদের দিকে মন নেই , শুধু ঘরবারান্দা দরজা দেখার
দারুণ আকুতি , মনে তো পড়ে না , এ কোলকাতায় আমি ছিনু একা !
কাজিনকুলের বোনেরা ঘুমোলে , বাথরুম যাওয়া প্রয়োজনীয় তো —
সম্পাদকীয় সংশোধনীতে , সুতরাং , সাথী হর্ষ দত্ত …