• Uncategorized
  • 0

কবিতায় ঐশী চক্রবর্তী

জন্ম ১৯৯৫ সালের ১২ ই অগাস্ট, কলকাতায়। ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যানথ্রোপোলজি বিভাগে সাম্মানিক স্নাতক। ছোটবেলা থেকেই কবিতার প্রতি ভালোবাসা, একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই লেখালেখির শুরু। ইতিমধ্যে কবিতা প্রকাশ পেয়েছে 'নবকল্লোল', 'শিলাদিত্য' প্রভৃতি বাণিজ্যিক পত্রিকায় এবং 'মাসিক কৃত্তিবাস', 'এবং মুশায়েরা', 'কবিপত্র', 'শব্দসাঁকো', 'আলো', 'টার্মিনাস' 'ইসক্রা' ইত্যাদি লিটল ম্যাগাজিনে।

নৈরাজ্য থেকে আলেকজান্দ্রিয়া

বহ্নি, বিরহ মনে পড়ে?
গতকাল প্রপঞ্চ জুড়ে শব্দের জল-নিচোর খেলা
থেমে থেমে বিরান। মজা দ্যোতনায়
কণা-কঙ্কর নিতে
হাতের রেখার সঙ্গে আমাকেও বেঁধে
সারারাত গিরিখাত ধরে রাসমঞ্চে পৌঁছলে
পাহাড় থেকে নামতে ইচ্ছে করত না তোমার।
যেভাবে রসস্থ হতে হতে
বর্ণচোরা আম থেকে দু’ একটা পোকা মেরে ফেললেও
আমি মরব না—
আমরণ জিইয়ে থাকব বসুধা আর মঘার ভেতর
চোরা আকাঙ্ক্ষা হয়ে
বর্ণনায় ঢুকে যাব, তৃপ্তি দেব না কাউকে।
শিরদাঁড়া বের করা গাছ শাখা নেড়ে ভূমায়, ইশারায়
আতুর যৌবন— অভিজ্ঞা প্রশাখা তার
বুঝিয়েছে জাগতিক সুখ মানে প্রজাপতির উত্তেজক জিহ্বা,
শুঁয়োপোকার খাদ্য এবং নিষ্ঠুরের কর্মসন্ন্যাস—
এই তিন ভ্রমকে অবিলম্বে জয় করা উচিৎ।
প্রকৃতি শাকাহারী। ধানে-গমে-যবে-ছোলায়, দুধে-ভাতে
শিহরিত; প্রতিবার রূপ দেখে পাগল হলে
হব্য পাবে – প্রেমিক পাবে না, বহ্নি!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।