এমন বসন্তদিনে সংক্রমন শিরায় শিরায়!
শুধুই শরীরে নয়,সে পরশ মনেও ছড়ায় ।
উতল বাতাস,নবপত্র কিশলয়,মাধবীদোলনে
চোখে চোখে সর্বনাশ,এমন মধুর চৈত্র দিনে
কোন সুখে কে যে কাকে চেনে!..কে জানে!
প্রতিরোধে, প্রতিবাদে এড়াবার চেষ্টা যতবার
ব্যর্থ হয়েছে সুখে!অথবা অসুখে বারবার ।
যদিও সমুখে নেই আজ কোন শান্তি পারাবার
ভেসে গেছে খেয়া……
সপ্তডিঙা, ময়ূরপঙ্খী,শালিধান, নবান্নের ঘ্রাণ..
প্রভাতের সুখস্বপ্ন ; ঢেউ ভাঙে স্মৃতির সাম্পান।
কারনে বা অকারনে প্রত্যেকেই থাকি অন্তরীন,
ওজরে, নজরে ;দিন পরে কাটে তাই কর্মহীন দিন
পড়ে থাকে দিগন্ত-বিস্তৃত হাহুতাশ!
এজন্ম ওজন্ম পথ ভরে থাকে স্বগত সংলাপে
অসহায় অপেক্ষায়, ফেলে আসা স্মৃতির আলাপে।
ভাঙবে জীবাণু-বাঁধ কোনও এক দুর্বল সীমায়
হতবোধে ক্লান্ত মন সুদিনের সেই প্রতীক্ষায়।
এ সংকটকাল শেষে, এমনই হঠাৎ কোনদিনে
সংক্রামিত হবে তুমি , হবেই। সেই শুভক্ষণে ॥