• Uncategorized
  • 0

“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় শমিত কর্মকার

আমি এবং রবীন্দ্রনাথ

সেই কবেকার কথা আমরা তখন স্কুলে রবীন্দ্রনাথের ছেলে বেলা পড়ছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে একজন লেখক ,কবি, নাট্যকার, গীতিকার আরও কতো কিছু জেনে উঠতে পারিনি। রবি মানে সূর্য মানেবাই দেখে পড়েছি। ঐ সেই রবীন্দ্রনাথ কে একটু একটু করে জানা শুরু।তারপর আস্তে আস্তে যখন আরও বড় হলাম তখন দেখলাম ২৫শে বৈশাখ নিয়ে চারিদিকে অনেক উন্মাদনা । সে দিন জানলাম ঐ দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। চারিদিকে ওনাকে স্মরণ করা হয় তার গান,কবিতা ,আবৃত্তি,নাটক দিয়ে। আমাকে দিয়ে পাড়ায় ঐ দিন কাবুলিওয়ালা নাটক করান হলো। জানতে পারলাম উনি নাটক ও লেখেন। স্কুল থেকে প্রত্যেক শনিবার এসে দেখতাম আমাদের বসার ঘরে মা হারমায়োনিটা নিয়ে বসে আছে। মায়ের গানের দিদি মনি আসবে। আমি স্কুলের জামা প্যান্ট ছেড়ে একটু খেয়ে যখন বসার ঘরে আসতাম তখন গানের দিদি মনি এসে যেতেন। আমি চুপটি করে মায়ের পাশে গিয়ে বোসতাম।এরকমই একদিন শুনলাম মাকে বলছে বৌদি আজ একটা রবিন্দ্র সঙ্গীত শেখাব।জানতে পারলাম উনি গান ও লিখতেন। এই ভাবে আমিও রবীন্দ্রনাথ কে জানতে থাকি।
এরপর স্কুল ,হাই স্কুলে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে অনেক খানি জেনে গেলাম পাঠ্য কবিতা ও গল্প পড়ে। এখন আমি রবীন্দ্রনাথ কে অনেকটাই জেনে গেছি। মোটামুটি ভাবে নিয়মমাফিক পড়াশোনা শেষ করে ফেলেছি। ওনার গান মানে যাকে আমরা রবিন্দ্র সঙ্গীত বলে জানি শুনছি ঘরে বসে বসেই। বই পড়ার অভ্যাস থাকায় বেশ কতগুলো রবিন্দ্র রচনাবলী আজ পড়ে ফেলেছি।
এখন মানে বর্তমানে আমি রবীন্দ্র প্রেমি। ঘরে পড়াশোনার আলমারিটা রবিন্দ্র রচনাবলী তে ভরে গেছে। বিভিন্ন বইয়ের মাঝে জ্বল জ্বল করছে রবীন্দ্রনাথ। পড়াশোনা লেখালেখি সবেতেই তাকে স্মরণ করতে হয়। যাই করি না কেন সেই ওনাকে বাদ দিয়ে যেন কিছুই করা যায় না!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *