• Uncategorized
  • 0

“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় মানিক বৈরাগী

মাৎস্যগন্ধা সুখ

মেঘের আদ্রতা মেখে বাতাসের কিনারে পথ চেয়ে থাকা
পুরনো রোদের মিষ্টগন্ধা রূপে পেলবতা উজ্জ্বল হয়
ফুরায় না যৌবন, ঘাসেরা সবুজ হলে নাচে গঙ্গাফড়িং
বিশেষ বিষের আশায় পাখা মেলে প্রজাতি
প্যারাঘাসে খেছুরাফল খোড়ে খায় মানবিকতা।
প্রজননহীন তেলাপিয়া অজুখানার শ্যাওলা খেয়ে বাঁচে
কলমকে বোবা করে পোষ্য প্রাণীর আঁচড়ের ভয়ে
ফেস্টুন হাতে নামে যারা— তারাও আজ ছাপোষা
অশরীরী পাহারা বসে বেদি ঘিরে, দণ্ড দিবে পত্যের বদলে।
ঝাউয়েরা বাঁশি বাজায় মাৎস্যগন্ধা সুরে
এই ঠান্ডা ঠান্ডা সুনীল বাতাসে ঝাউয়ের পরশে
অনায়াসে শুয়ে থাকে রবীন্দ্রনাথ কবিতা চত্ত্বরে।
লোনা বাতাসের মাৎস্যগন্ধা সুখ পেতে
আমি সাগরে যাবো আমি সাগরে যাবো।
(২৫শে বৈশাখ জন্মতিথি কে)

রজনী ও যামিনী র আলাপন

খুব চা’র তেষ্টা পেয়েছে চলো
তপ্ত বালিয়াড়ির অন্ধকার চৌকিতে বসি
এসো পান করি জোসনা মিশ্রিত দ্রবন চা
শুভ্র আলখেল্লা পরিহিহিত স্রোত কল্লোলিত
শ্বশ্রু মন্ডিত প্রৌড় যুবকের দেখা পাই
তাঁর নাম রবী ঠাকুর,আজ ২৫শে বৈশাখ

উদার পকেট হতে আমাদের সম্প্রদান করলেন একজন ” মনুহু”

সাথে অর্পন করেছিলেন কিছু দায় ও দায়িকতা
জানো?মনে পড়ে
হুম খুব মনে পড়ে
কবিতা মঞ্চ টি এখন নিরব, ঝাউয়েরা সরব
চা খেতে খেতে কুয়াশা মিশ্রিত বাতাসের আদ্রতার লোবান চুষি
আচ্ছা -মনুহু এখন আসে না কেন?
ওনি চাঁদ সওদাগরের সন্তান
মনুহু ঠিকিই আসবে
কবিতার মান মন্দির এখানে হবেই
শুনো নিকট দূর হতে ভেসে আসে
হাসির কলরোল,নুপুরের নিক্কন
কে গায় এমন প্রাণ খোলা গান?
ঐ দেখো
জলপরিরা নাছ, ঠাকুর গায় গান
প্রতিটি ২৫বৈশাখের নিশুতি মেলায়
গুরু আসেন,ঘুরেন, চা চরস টানেন
তুমি বসো
আমি ও দু এক টান মেরে আসি।
(২৫শে বৈশাখ জন্মতিথি কে)
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।