“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় রূপক চট্টোপাধ্যায়
by
·
Published
· Updated
পূজা
আমি তো অনন্ত কে পরিক্রমণের নেশায়
হেঁটে যাই তোমার দিকে।
– তুমি তো আকাশ হয়ে থাকো।
তুমি তো বেঁচে থাকার মন্দির
জুতো খুলে তোমার
সহজ পাঠের চৌকাঠ পার হই!
তার পর কত বর্ষা এলো
কত বসন্ত বাজালে বাঁশি
মিলন বিরহের সুরধুনী তালে।
আমি তো মত্ত হয়ে
দুঃখ ভেবে তোমাকে ছুঁই।
আমি তো মত্ত হয়ে
অন্ধকার, তোমাকে ছুঁই।
ছুঁয়ে থাকি নীল টুকু সমুদ্র আবেশে
ছুঁয়ে থাকি গান টুকু অন্তমিলে মিশে।
আমি তো বেঁচে থাকার নেশায় চুমুক দিয়েছি,
— তুমি তো অমৃত স্বাদ।
তোমার চূড়ান্ত চূড়ায় চেয়ে থাকি
প্রণাম রাখি সমতলে র চরণ ধুলায়।
আমার প্রেম বেজে ওঠে – তোমার ভাষায়।
আমার কান্না লেখা হয় – তোমার কুয়াশায়।
আমি তো মরণ বুঝি- শ্যাম সঙ্গে মিলন।
আমি তো ঈশ্বর বুঝি – সখা, আপনজন।
তাই আজোও
হাহাকারের ভেতর আলো জ্বলে বসে আছি
– এসো প্রিয়তম দূর।
গাঢ় অন্ধকার থেকে ডুকরে ওঠা পাঠাই
এসো দেবতা মধুর।
আমার নতজানু চিরদিন তোমার গমনে র পথে থাক।
এসো তৃষিত প্রাণের আবেশে
এসো সুবর্ণ আলোয় এসো
পঁচিশে বৈশাখ।