• Uncategorized
  • 0

“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় উমা বসু

শতাব্দীর সীমানা পেরিয়ে

ভারতবাসীর নিভৃত প্রাণের বেদনা ও গৌরবকে
বিশ্বদেবতার মন্দিরে পৌঁছে দিয়েছিলে
পূজার অর্ঘ্য সাজিয়ে ।
কালচক্র শতাব্দীর সীমানা পেরিয়ে
গড়িয়েছে আরো দূরে ।
তোমার হেমপ্রভা আলো মেখে
প্রতিদিন ফুটে ওঠে শতশত ফুল।
কত মধ্যরাত,স্তব্ধ দুপুর ডুবে যায়
তোমার কবিতার ছন্দ মাধুরীতে।
তোমার গানে প্রাণময় হয়ে ওঠে
প্রাচীন ভাস্কর্য, পুরাতন পুঁথি ।
মরা নদী ফিরে পায় প্রাণের জোয়ার
তোমারই সুরের মুর্চ্ছনায় ।
আসন্ন মৃত্যুর সার্বজনীন উৎসবে
ভয় হতে অভয়ের পদে সমর্পিত হবার মহামন্ত্রে,
তুমিই আমাদের মৃত্যুঞ্জয়ী অমল করে তুলেছ।
চেতনার মর্মে প্রতিদিন পৌঁছে দিচ্ছ,
বিশ্ব মহাসঙ্গীতের শাশ্বত মধুর সুর।
শতাব্দীর পাদপীঠে বসে,
অসীম কৌতুহল বুকে বেঁধে
নিত্য পাঠপূজা করে একালের নিবিষ্ট পাঠক
অলঙ্ঘ্য দূরত্বের দুয়ার হতে
তোমার অমৃত আলোর করুণা নিয়ে
বেঁচে থাকে আমারই মতো কোনো উপেক্ষিত তৃণাঙ্কুর।
ব্রতধারী তাপসের সাধনায় তোমাকে জানার আকুতি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে ।
এ অন্বেষণ চলতে থাকবে
আরো কত শতাব্দী ছাড়িয়ে. ..।
সেই দূরাগত ভবিষ্যতের কোনো এক
নীল নির্জন গৃহকোণে,
জন্মান্তরিত এক আলোক সন্ধানী পাঠিকার
হৃদয় মন্দিরে-
আরতির দীপ উঠবে জ্বলে।
দীনতার ঐশ্বর্য নিয়ে
প্রতি জন্মে নত হবে সে
তোমার চরণতলে ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *