• Uncategorized
  • 0

অণুগল্প ১ বৈশাখের বিশেষ সংখ্যায় দেবশ্রী ভট্টাচার্য

পরাশরের কুলফি

কুলফি!! কুলফি!
পরাশর হাঁক পাড়ল। না  আজ একটাও জানলার পর্দা  সরল না। একটাও দরজা ফাঁক হল না। কপাল থেকে গড়িয়ে  আসা ঘামটা মুছল পরাশর। বেশ গরম পড়েছে। এই গরমেই তো সেল বাড়ে। কিন্তু আজ যে একজনও ডাকছে না তাকে। আরো জোরে ডাক পাড়ল পরাশর
  • কুলফি চাই কুলফি!
    ঠিক এই সময়  পাছার ওপর  পড়ল লাঠির বাড়ি। পরাশর তার গাড়ি  শুদ্ধু দু ফুট দূরে হুমড়ি খেয়ে  পড়ল। সামনে মূর্তিমান যমের মত দুই হাবিলদার।
    কীরে শালা পাছায় লাঠির বাড়ি না পড়লে কথা কানে যায় না তাই না! বলে এসেছিলাম না বস্তিতে গিয়ে লকডাউন চলছে বাড়ি  থেকে বের হবি না।
    কথা বলতে বলতে আবার লাঠির বাড়ি। এবার কাঁধের ঠিক নীচে।
    পড়ে গিয়ে থুতনির কাছে কেটে গিয়েছিল। রক্ত পড়ছিল চুঁইয়ে চুঁইয়ে। পরাশর এবার উঠে দাঁড়াল।
    নিয়ে  যাবেন বাবু, ফাটকে পুরে দেবেন আমায়!
    বেশ উত্তেজিত শোনাল পরাশরের গলা।
    পরাশরের কথা বোধহয় কানেই গেল না  ওদের।
    দাঁড়া তোর ব‍্যবস্থা করছি। মালটার কুলফিগুলো বার কর তো! সব কুলফি  আজ কুকুরকে  খাওয়াব।

    বলতে বলতেই দুজনে টান মেরে গাড়ির ঢাকনা খুলে ফেলল। কিন্তু কোথায়  কুলফি! সব তো ফাঁকা
    কীরে কুলফি কোথায়!
    কুলফি কোথায়  পাব বাবু! পকেটে পয়সা নেই, দুধ কিনব কোথা থেকে!
    তাহলে এমনি খালি গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিস কেন!
    সব যে বললে রাস্তায়  বের হলে পুলিশে ফাটকে পুরে দিচ্ছে। নিয়ে চলুন না বাবু সেখানে  গেলে বরং দুটো খেতে পাব। দুদিন  পেটে কিছু পড়েনি বাবু। আমাকে  ফাটকে নিয়ে চলুন না বাবু।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *