সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে উজ্জ্বল কুমার মল্লিক (পর্ব – ১৯)

শহিদ ভগৎ সিং চরিত

পঞ্চম অধ্যায় || পঞ্চম পর্ব

বায়োস্কোপওয়ালা বলে চলেছে, “দেখ, ঘড়িতে এখন বিকেল ৪টে; অফিস ঘর থেকে একজন লালমুখো সাহেব, অফিস- প্রাঙ্গণে দাঁড়ানো মটর – সাইকেলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে;
একজন লম্বা মত শিখ কনস্টেবল, সাহেবের হাতে কাগজপত্র দিয়ে অফিস – ঘরে ঢুকছে। মটর – সাইকেল,  ষ্টার্ট নিয়ে একটু গড়াতে, জয়গোপাল দিয়েছে  সিগন্যাল, আর একটু দূরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা রাজগুরু, মটরসাইকেলের আরোহীর ওপর
রিভলবার তাক করেছে। মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা ভগৎ সিং তা দেখে, ওটা স্বট নয়, পণ্ডিতজি বলে ছুটে এগিয়ে আসবার আগেই
রাজগুরুর রিভলবারের গুলি ছুটেছে; আরোহীর পায়ে গুলি লাগায়, গাড়ি হেলে গিয়ে পড়ে গেছে; আরোহীর একটা পা রয়েছে মটর- সাইকেলের নীচে। ছুটে এসে ভগৎ সিং, অনন্যোপায় হয়ে নিজের পিস্তল খালি করলো আরোহীর উপর; আরোহী আর কেউ নয়, অতিরিক্ত পুলিশ – সুপার
P Saunders। গুলির আওয়াজে থানার কনস্টেবলরা তাড়া করলে, ওরা দু’জন পশ্চিমের গেট দিয়ে ডিএভি কলেজের ল্যাট্রিনের কাছে দাঁড়ানো সাইকেল নিয়ে গা – ঢাকা দিল।যেতে যেতে ভগৎ সিং বলছে, ‘পণ্ডিতজি, ওটা স্বট নয়, ওটা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার; জয়গোপাল, ভুল সিগন্যাল দিয়েছে; রাজগুরুকে নিষেধ করতে যাবার আগেই ঘটনা ঘটে গেল, আহতকে শেষ করতে গুলি চালাতে বাধ্য হলাম’।”
“প্রকাশ্য দিবালোকে মিঃ সান্ডারকে অফিসের  সামনে গুলি করে হত্যা করে, লালাজি হত্যার বদলা নেওয়ায় HSRA’ র প্রতি যুব-সম্প্রদায়ের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে; সারা দেশে HSRA’ র গুরুত্বের একটা বিশেষ মাত্রা পেল।শহরের চারদিকে লিফলেট ছড়ানো হয়েছে। যুগে যুগে এই যুবকেরাই গড়েছে ইতহাস; পরে, হায়!  এই জয়গোপালই রাজসাক্ষী হয়ে বিচার সভায়, এসব সবিস্তারে উল্লেখ করেছে।”
চলবে
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।