• Uncategorized
  • 0

কাব্যক্রমে উজ্জ্বল কুমার মল্লিক

১| গণতন্ত্রের সমাধি

রাম-রহিম আজ থাকুক বসে,
মন্দির-মসজিদ সবার আগে,
বামুন-মোল্লার হোক্ পোয়াবারো
মানুষ থাক্ না চুপ অনাহারে।
রাজনীতি-ফড়ে চালক আসনে
হতাশ মানুষ, বড় অসহায়
চলছে লুঠ, চমকানো নিয়ত
সংবিধান- ই হয় পদদলিত।
গণতন্ত্র দেখ ধুলোয় লুকায়
শাসন-বিচার সব এক হাতে;
আখের গোছায় মো-সাহেব যত
রোষিত মানুষ ঐ বিক্ষোভে ফাটে।
আকাশে ওঠে জয় শ্রীরামধ্বনি
উদ্বেগ বাড়ায় শাসকের চোখে
কশেরু সোজায় সব এক রোখো
প্রতিবাদের দাবিতে পথে পথে।

২| দে গরুর গা ধুইয়ে

‘দে গরুর গা ধুইয়ে’
আয় পিঠ চুলকাই
পরস্পরে;সম্পাদনা,
সাহিত্য-সেবা! মুখোশ
রে বোকা, পরতে হয়
ভাজতে মাছ, মাছের
তেলে, নাম হবে তোর
দানেশ-মন্দি গৌরবে:
যতেক সাহিত্য-সেবী
দেখবে তোরে সম্ভ্রমে;
সাঁঝ-বেলার আড্ডাতে
তোল্লা দেবে তোর নামে,
চাটুতে দেখতে পাবি
আসলে ওদের ছবি,
কী গুণের গুণনিধি
সব সাহিত্য প্রাঙ্গণে!

৩| আনন্দ-স্রোত

পালে পালে চলি না আমি
পাল তুলে দিই নাও এ;
আপন পথের পথিক
আমি, চলি আপন-ভাবে।
পালেতে লেগেছে হাওয়া,
আমার ‘আমি’ বসি হালে;
ষড়-রিপু দলে দমিত
করি, অক্লেশে, অবহেলে।
তির-তির বহে প্রবাহ,
মোহনা রয় ঐ অদূরে;
আনন্দ-স্রোতে ভেসে রই,
মিলন-সুখ আতিশয্যে।
সন্ধ্যা-তারা ওঠে আকাশে,
পুবাকাশে দাঁড়ায় সোম;
জোছনা-ডালা লহে সাথে,
অনুরাগ ভরা সোহাগে:
আপন বঁধুয়া ঐ আসে
সুষমা-ভরা সমীরণে।

৪| রায়-পর্ব কালে

চক্রব্যূহের মাঝে, আমি ঘুরেছি
কয়েক দশক;
হ্যামারের ওঠা-নামা, ঘেরা টোপে
দেখেছি অনেক;
ক্লান্তি জড়ানো চোখে,ক্ষোভিত মনে
ফুঁসেছি বারেক।
বদলা গেল, হ’ল রকম-ফের
এ অপ-শাসনে;
ডাকাডাকি, মার্জিনের মাতামাতি,
রাতারাতি সব
পাল্টায় ভোল, নতুন পরিধানে
অবতার-রূপে।
দন্ত-বিকশিত, লাজ-লজ্জ্বাহীন,
সমাজের কীট;
নীচতায় ঢাকা ওদের শরীর,
কভু না কুণ্ঠিত
পদ-লেহনে, চাটুতে তোষামোদী
শ্ব-বৃত্তি ধারণে।
জীবন-পথিক আমি, বসে আছি
হত মনোরথ;
আকুল সময়ের বিকিকিনির
হিসাব মেলাতে,
দিতেই হবে তুলে তা, কালপুরুষে
রায়-পর্ব কালে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।