গল্পের জোনাকি-তে উজ্জ্বল দাস পর্ব – ৩

তিন)
পালানো কেস নিয়ে প্রথমেই একজন মহিলা তার নাম নাকি ঝাঁসি মিষ্টিরানি। বুড়িমার কাছে এসে, সে তো কেঁদে কেটে একসা। কি! না, তার নাকি মেয়ে পালিয়েছে। এক হপ্তা ধরে বুড়িমাও কিছু করতে পারেনি। এবার বুড়িমা বলেছে আসল অস্ত্রটা ছাড়বে। সেই আশায় ঝাঁসি দেবী থানায় ডাইরি ও করেননি। আচ্ছা বেশ। আরো কটা দিন দেখে নাকি তারপর পুলিশে খবর দেবেন। কারণ এই সমস্ত অপহরণ বা পালিয়ে যাওয়া কেস গুলোতে পুলিশকে জানালে নাকি বুড়ির ওষুধ আর কাজ করে না। ওটা ডবল ধামাকা হয়ে যায়। আর তাতে কিনা মেয়ে, পাচার ও হয়ে যেতে পারে বিদেশে। সে তো আরো ভয়ের ব্যাপার। তা এখন সেই ঝাঁসি দেবীর জন্য ওষুধ তৈরি করে দেবে বুড়িমা।
ঝার- ফুঁক- তুক -তাক, অনেকক্ষণ ধরে করে একটা হরলিক্স এর শিশিতে কিছু কালো কালো গোল মরিচ আর একটু জল মিশিয়ে তাকে দেওয়া হলো। আর বলা হলো সেটা যেন বড় বাথরুম থেকে মানে ই-য়ে করে এসে একদম কেউ ছুঁয়ে না ফেলে। বুড়িমা তো ঠক ঠক করে খুব কাঁপছে। হাত থেকে এই বুঝি শিশি পরে যায় পরে যায়। যাই হোক, সেই ঝাঁসি দেবী তো কাঁদতে কাঁদতে একটা ছোঁড়ার হাতে তিনশো এক টাকা দক্ষিণা স্বরূপ গুঁজে দিয়ে ঘর থেকে চুপ চাপ অশ্রু বিসর্জন করতে করতে বেরিয়ে গেলেন। আগে বাড়ি গিয়ে ওই জল সারা বাড়িতে ছিটিয়ে দিতে হবে। আর পাশের বাড়ির লোকজন যাদেরকে সন্দেহ হয়, তাদেরকে ও একটু ওই মন্ত্রপুত জল শুকিয়ে দিলেই চলবে। ব্যাস এটাই বুড়িমার চরম অস্ত্র। নাহলে পুলিশেই ভরসা রাখতে হবে এর পর। তবে এ নাকি অব্যর্থ মহৌষধ।