কবিতায় উত্তম বনিক

নিরাশার পূজা
কি নিবি মা এবার পুজোয়…
. মুখটা খুলে বল,
চল চলে যাই বড় বাজারে…
. নয়তো শপিং মল.
চাঁদবদনী মুখটা কেনো…
. করে আছিস কালো,
পুজোর সময় এমন বদন…
. লাগে কি দেখতে ভালো।
বিয়ের পরে প্রথম পুজোয়…
. বাপের বাড়ি এসে,
ইচ্ছে ছিলো দিন কাটাব …
. আনন্দ উল্লাসে।
একটি মাত্র ছোট্ট ভুলে…
. জীবনটা তোলপাড়,
মনের মধ্যে চাপা দেওয়া…
. যেনো হিমালয় পাহাড়।
বাবার স্নেহ লাগে উপহাস…
. এই সময়ে এসে,
আর দুটো বছর থাকতে দিতে…
. যদি কন্যা বেশে।
তবে কি আর দেখতে হতো…
. এই বিরহের দিন,
ছিল আঁখি ভরা স্বপ্ন আমার…
. কতো সে রঙিন।
কেনো তুমি দিলে বিদায়…
. শূন্য করে ঘর,
কেনো তুমি হয়ে গেলে…
. এতটা স্বার্থপর।
জোর খাটিয়ে দিলে বিয়ে…
. দেখে বড় বাড়ি,
ত্যাগ করে ভালবাসা আমার…
. দিতেই হলো পাড়ি।
অত্যাচারের চরম সীমায়…
. আজ জীবন আমার শেষ,
ভাবলে তুমি শ্বশুরবাড়িতে…
. মেয়েটি আছে বেশ।
কেমন করে বলি বাবা, আজ…
. আমি যে নিরুপায়,
শরীর জুড়ে যে সিগারেটের ছ্যাঁকা…
. কান্না এসে যায়।
হৃদয় জুড়ে জড়িয়ে ছিল…
. আমায় যে ভালোবেসে,
ঘেন্না করে তাড়িয়ে দিলে…
. তুমি উঠলে হেসে।
একি বিচার করলে তুমি…
. মন দিয়েছিলো কি সায়,
মেয়ের জায়গায় হলে ছেলে…
. করতে কি এ অন্যায়।
যতোই পড়ুক গয়না, শাড়ি…
. কাজল দিয়ে চোখে,
জমানো কিছু স্বপ্ন মেয়েদের …
. যায় রয়ে মনের ফাঁকে।
বুঝতে জীবন যায় চলে…
. কে আপন, কে পর,
বাপের বাড়ি না শ্বশুরবাড়ি…
. কোনটা নিজের ঘর।