সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে তুলি রায় (পর্ব – ৭)

নামকরণ
নামকরণ লইয়া যত বিতর্ক হইতে পারে তাহার সবটুকু স্বীকার করিলেও যাহা থাকিয়া যায় তাহা হইলো অনুভূতি। একই অনুভূতি অথচ প্রকাশে তাহা ভিন্ন ভিন্ন হইতেছে । ধ্বনির গমকে শব্দ কখনও তীব্র কখনও ক্ষীণ। পৃথকীকরণ যে হইা হইতেই হইয়াছিল তাহা অস্বীকার করিবার জায়গা নাই। উচ্চারিত শব্দের সহিত নাভির যোগ আছে বলিয়াই তাহা ব্যক্ত করিতে পারি। আমি, এই আমিটিই শত-শত আমিরই ক্ষুদ্র এক রূপ। রূপ- যাহা দেখিতেছি তাহাই যে একমাত্র এমন নহে । যেমন একটি গাছ তাহাকে সকালে যেমন দেখিয়াছিলাম, শেষ বিকেলে তাহার রূপ যে এক হইবে না একথা সকলেই জানি। গাছটিই তো! তাহার রূপের ভেদান্তর হইতেছে মাত্র। রূপভেদে যে পাথরও স্বর্ণ হইয়া যায় সময় এবং অবস্থানের ধৈর্যে। সময় যাহাকিছু কাড়িয়া লয় আমরা তাহা লইয়াই পড়ে থাকি এবং দুঃখী হইতে থাকি। অথচ সম্মুখে যাহা উন্মোচিত হইতেছে তাহা দেখিতেই ভুলিয়া যাই। সঞ্চয়ের খাতা কখনও অপূর্ণ থাকিতে পারে না। নয়নের নয়ন চক্ষু মুদিয়া দেখিতে পাইলে আর কিছু চাহিবার অবশিষ্ট থাকে না!
ক্রমশ…