• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় তপশ্রী পাল

জলাতঙ্ক

বিজনবাবু এলাকার বড়ো ব্যবসাদার! ইলেক্ট্রনিক্স, গয়না কিসের দোকান নেই? এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন। দাঁড়িয়ে ইস্তক বিষম টেনশনে আছেন। কোনদিন জনকল্যানে কোন কাজ করেননি। দিনরাত লাভ ক্ষতির হিসেব দেখে কোনদিকে তাকাতে পারেননি। তাকে আদপে কেউ ভোট দেবে কি না বুঝে উঠতে পারছেন না। উল্টোদিকে দুবারের মন্ত্রী! বিজনবাবুর নাওয়াখাওয়া বন্ধ। দোকানেও মন নেই। অবস্থা দেখে ভাইপো সমীর বললো
মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে। সামনেই তো বাংলা নববর্ষ! আর তার পরেই ভোট! হালখাতায় সবাইকে তুমি শরবত খাওয়াও প্রতি বছর! এবার তাতে একটু টুইস্ট দিলেই বুঝে যাবে কত লোক তোমায় ভোট দেবে!
কীরকম?
এবার রঙিন শরবতের আয়োজন করো। সবুজ আমপান্না, কমলা ফ্যান্টা, আর লাল রুহআফজা! কে কটা খেলো দেখেই বুঝে যাবে!”
বেড়ে বলেছিস!
নববর্ষে সমীর একাগ্রচিত্তে শরবতের হিসাব রাখতে লাগলো! দিনের শেষে হাসি মুখে কাকাকে বললো “ষাট ভাগ তোমার দিকে!” বিজনবাবু নিশ্চিন্তে নিদ্রা গেলেন। ভোটের ফল বেরোলো। সেই থেকে বিজনবাবু গুম মেরে আছেন! গিন্নী একগ্লাস জল দিতে গেলে শুধু বললেন “আমার জলাতঙ্ক হয়েছে!”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।