কবিতা সিরিজে তুলসী কর্মকার

ফর্মুলা
আমি চাইছি সুখ..
নিজেকে ধরে বাঁচতে…
প্রতিশোধের আগুন জ্বালিয়ে দিতে….
তোমার কাছে সাজানো সত্যি আছে
হদিস পেয়েছি, অভ্যস্ত হচ্ছি
স্ত্রীর মতে হ্যাঁ দিচ্ছি
সমাজের সাথে মিশে যাচ্ছি
রোলিং পার্টিকে সমর্থন করছি
অন্তহীন সুখ সাগরে সাঁতার কাটবো বলে…..
জীবন
জাদুঘরে বেলুন ফোলানো হয়
১ কিছু অকস্মাৎ ফেটে যায়…
২ কিছু নির্দিষ্ট কারণে লিক হয়…
৩ সামান্য ফুলে দুর্বল স্থানে হাওয়া বেরতে থাকে…
৪ অল্প কিছু ফুলে উঠে, যা ক্রমশ স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে চুপসে যায়….
নিবারণ চিৎকার করে জীবন কোথা হে?
এক্সিডেন্ট, আত্মহত্যা, অসুখ, বার্ধক্য ক্রমানুসারে বেলুনে ভরা আছে…
আঁতুড় ঘরে অদৃশ্য যাদুকরের এক ফুঁ তারপর শ্বাস প্রশ্বাস ক্রমশ শরীর বেড়ে যায়….
ঈশ্বর সৃষ্টি
চিৎকার করলে
ওহে মজুর
দীন কেন তুমি?
শচীন হলে না কেন?
দাদার চেয়ে কালো হলে কেন?
ইচ্ছে ও উপায়গুলো সংকীর্ণ কেন?
অলিখিত বিজ্ঞান হেঁটে চলে
সমাধান করা আছে অজস্র অঙ্ক
অজানা যত কেন’র উত্তর জানে ঈশ্বর
লিটমাস
শরীর জুড়ে সন্ধ্যে নামে
সেথায় কালভার্ট, জল মাঠ, ব্যাঙেদের হাঁকডাক
এক ছাদ জ্যোৎস্না তোমাকে দেখে
মজে উঠে রেণু
এলোথেলো চুল আগোছালো হাওয়া
শিহরণে অম্ল ক্ষার ছলাৎ করে
কে! কে? ওখানে?
কাঁপা কাঁপা গলা চুপিসারে বলি
বসে আছি গোপনে
অব্যক্ত আর্জি
মিলে দাও মন, আলগা কর লাগাম
খেয়ালি অজস্র নির্দেশক করতে থাক ছল…