• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় তমালী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষের কবিতা

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছেলে-
মেয়েকে মলে নিয়ে গিয়ে নন্দিনী ওদের পছন্দমতো ড্রেস কিনে দেয় নানা সেল অফারে।
আর নববর্ষে অনিন্দ্য ওদের বাংলা গল্পের বই কিনে দেয়।
আজ অফিস ফেরত কলেজস্ট্রিটে বই কেনার পরে… পাশে পুরনো বই এর দোকানে হঠাৎই চোখ আটকে গেলো পুরোনো হলদেটে হয়ে যাওয়া “শেষের কবিতায়”। বই এর প্রথম পাতা ওল্টাতেই চমকে উঠলো অনিন্দ্য। এতো তারই হাতের লেখা!!
লেখা রয়েছে…”প্রিয় রূপকে অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় অনি”।
এই বইতো অনিন্দ্যই দিয়েছিলো ওর প্রেমিকা রূপসাকে।সেসময় দু’জনে স্বপ্ন দেখেছিলো অনেক।
এরপর অনিন্দ্য ভালো একটা চাকরী পাওয়ার দম্ভে সহজেই ভুলে যায় খুব সাধারণ রূপসাকে। তারপর ওর সঠিক যোগ্য বড়োলোকের একমাত্র সুন্দরী মেয়ে নন্দিনীকে বিয়ে করে।
ওর উপহার দেওয়া বইটা এইভাবে অযত্নে অবহেলায় ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখে আজ মনটা খারাপ হয়ে গেলো অনির। বড্ড অনুশোচনা হলো।দাম দিয়ে বইটা কুড়িয়ে নেয় পরম মমতায় আর মনে মনে ক্ষমা চায় রূপসার কাছে আর ভাবে সত্যিই…রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে।।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।