T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় তৃষ্ণা বসাক
এই আগুনের মধ্যে যদি আসো
আমাদের কোন এমারজেন্সি একজিট ছিল না,
যখন বিপদঘন্টি বেজে উঠল,
মহাশূন্য থেকে ঝাঁপ দিলাম তিন বোন, একসঙ্গে
নিচে কোন জাল বিছোনো ছিল না, সুরক্ষা জাল,
যা আমাদের লুফে নিতে পারত জীবনবীমার দুটি হাতের মতো।
আমাদের জন্যে মোমবাতি জ্বলল,
বাবা তখন ডি এন এ টেস্টের লাইনে দাঁড়িয়ে,
মোবাইলে থমকে দুটো পাঁচের মেসেজ-
‘স্তব্ধ প্রহরে দুজনে বিজনে দেখা
সন্ধেতারাটি শিরীষ ডালের ফাঁকে’
এখানে একটা শিরীষ গাছ থাকলেও
তার ডালে আমরা আটকে যেতে পারতাম,
একটা শিরীষ গাছ, একটা সিকিওরিটি নেট…
কিন্তু তুমি তো আসতে পারতে,
এত কাছে সদর স্ট্রিট,
স্বপ্ন ভেঙে উঠে একদৌড়ে চলে আসতে পারতে তুমি,
তোমার প্রসারিত দুই হাতে আমরা তিন বোন
সন্ধ্যাতারার মতো টুপটুপ করে খসে পড়তাম!
আমাদের কোন এমারজেন্সি একজিট ছিল না,
ওপরে মহাশূন্য, নিচেও মহাশূন্য,
তুমিও নাকি অনেক দূরে থাকো,
তবু যদি কখনো আসো,
তোমার লটরপটর জোব্বা একটু সামলে রেখো,
মোমবাতিগুলো এখনো জ্বলছে!