টকটকে লাল ফ্রক পরা একটি টুকটুকে মেয়ে,
রসিকদের বাগানের কাঠবেড়ালিটার কাছে বাদাম চেয়েছিল একমুঠো,
দুষ্টু কাঠবেড়ালিটা ওকে এক মানুষ সমান জল দিয়ে গেছে।
খড়িমাটির পুতুলের মতো মেয়েটা পা দুলিয়ে বসে থাকে বংশীদের তাঁতঘরের কাঁচ বসানো পাঁচিলের ওপর,
পা-ভর্তি ভাঙা ইঁটের মতো জমাট বাঁধা কালো শ্যাওলা
কয়েকশো বছরের।
আরও অনেক বছর আগে
ঠাকুমা গরম জলে ছাড়িয়ে দিয়েছিল
পা থেকে হলুদ বিষের কার্পেট,
খুকুদিদিদের মজা পুকুরের ঘাটে অমন হলুদ কার্পেট পাওয়া যায়—
কার্পেটের রঙটা
শিয়ালকাঁটা ফুলের মতো হলুদ,সর্ষে ক্ষেতের মতো আকন্ঠ হলুদ,হিমুর পাঞ্জাবির মতো হলুদ…
দেড়মাস বয়সের জন্ডিসের মতো হলুদ,
কাটাছেঁড়া করার পর ঠান্ডাঘরে শোয়ানো লাশের মতো লালচে-হলুদ…
দিন চারেকের মধ্যে ওতে হাজার বছরের শ্যাওলার রঙ ধরে।
তারপর আকাশ ভাঙে, বছরের প্রথম শিলাবৃষ্টি;
কয়েক কোটি কাঠবেড়ালি বাদামসমেত ভেসে যায়!
ঊনচল্লিশ বছর পর কাঠপুতুলের মতো একটি মেয়ে পাঁচিল ছেড়ে দোলনায় ওঠে।