আজকালকার বউরা চল্লিশ পেরিয়ে গেলেই কচি কচি ছেলেদের খপাত করে ধরে আর তাদের মাথা চিবিয়ে চিবিয়ে খায়। আর ছেলেগুলোও হয়েছে তেমনি! প্রেম করার পাশাপাশি সহজেই যেখানে সব কিছু পাওয়া যায় সেখানেই ছুক ছুক করে।
এর আগের দিন অনুজের সঙ্গে এই মহিলাকেই ও দেখেছিল রিকশা করে যেতে। তারও আগে একদিন দেখেছিল লেক মার্কেটে। কিন্তু সে দিন তার সঙ্গে বাবা ছিল বলে সে কোনও ট্যাঁ ফু করতে পারেনি। কিন্তু আজ একদম সামনাসামনি।
এই মহিলাটির কথা তার কাছে যেমন গোপন করেছে, তার কথাও নিশ্চয়ই এর কাছে চেপে গেছে। এ দিকে তার সঙ্গে যখন দেখা করতে আসে, এমন ভান করে যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না। অথচ দ্যাখো, একই সঙ্গে দু’-দুটো চালিয়ে যাচ্ছে। আজ ওর মুখোশ খুলে দেব।
অনুজরা যখন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলছে, শ্রেয়া হনহন করে ওদের সামনে গিয়ে প্রথমেই রুক্ষ মেজাজে অনুজকে চার্জ করল— এই মহিলাটি কে?
অনুজ আমতা আমতা করছে দেখে শ্রেয়ার বুঝতে অসুবিধা হল না, এই ভাবে ধরা পড়ে গিয়ে ও একেবারে ঘাবড়ে গেছে। তাই প্রচণ্ড রেগে গিয়ে আগের চেয়েও আরও চড়া গলায় জিজ্ঞেস করল, এই মহিলাটি কে?
একটু থতমত খেয়ে অনুজ কিছু একটা বলতে যাওয়ার আগেই শ্রেয়া নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না। অনুজের গালে সপাটে বসিয়ে দিল একটা চড়।
অনুজকে ও ভাবে মার খেতে দেখে মহিলাটিও দিকবিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে শ্রেয়াকে এলোপাথাড়ি থাপ্পড় মারতে লাগল। আর মারতে মারতেই অনুজকে জিজ্ঞেস করল, এই মেয়েটা কে?
অনুজ কিছু বলতে যাওয়ার আগেই তার সঙ্গে অনুজের কী সম্পর্ক সেটা জাহির করার জন্য শ্রেয়া বলল, আমি ওর গার্লফ্রেন্ড। আপনি কে?
মারতে মারতেই সেই মহিলাটি বলল, আমাকে ভাল করে চিনে রাখ। আমি ওর মা।