সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে সিদ্ধার্থ সিংহ (পর্ব – ২১)

কেমিক্যাল বিভ্রাট

আমি বললাম, না না, ডেটল লাগাব না। ভীষণ জ্বালা করে।

তখন উনি বললেন, এ ছাড়া তো আমার কাছে আর কিছু নেই। ঠিক আছে দাঁড়া, দোকান খুলুক, আমি ব্যান্ড এড নিয়ে আসব।

আমি বলেছিলাম, দরকার নেই। আর আপনি যদি একান্তই জোরাজুরি করেন, তা হলে না-হয়, এখান থেকে বেরিয়ে আমিই কিনে লাগিয়ে নেবখ’ন।

কিন্তু উনি আমার কথা শুনলেন না। বললেন, কাল রাতে কেউ যদি তোকে দেখে থাকে, বেরোলে ওরা যদি তোকে চিনতে পারে, তখন?

ছেলেটা কথাগুলি বলে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার কথা জবালার বিশ্বাস হচ্ছে না। যে বাবা ছোটখাটো অন্যায় দেখলেও একদিন রুখে দাঁড়াতেন, তিনি আজ কিনা একটা চোরের জন্য ব্যান্ড এইড আনতে গেছেন! এটা কি বিশ্বাস করা যায়! না, এটা সম্ভব! নাকি বয়স হলে মানুষ এ রকমই হয়ে যায়! যখন তাঁর চোখে-মুখে একটা গভীর সন্দেহ দানা বেঁধে উঠছে, ঠিক তখনই তিনি দেখলেন, তাঁর বাবা চৌকাঠ ডিঙিয়ে এ ঘরে ঢুকছেন। হাতে মেডিকেল শপের একটা ঢাউস ক্যারিব্যাগ। আর তার ভেতর থেকে উঁকি মারছে ইয়া বড় একটা হরলিক্সের বোতল। কিন্তু প্যাকেটটার ফুলো-ফুলো চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, তার মধ্যে শুধু ওটাই নয়, আরও অনেক কিছু আছে। কিন্তু ব্যান্ড এইড ছাড়া যে আর কী কী আছে, জবালা তা বুঝতে পারলেন না। বাবার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।