সাপ্তাহিক ধারাসম্পাতে সিদ্ধার্থ সিংহ (পর্ব – ৩১)

কেমিক্যাল বিভ্রাট
— কী বললে? কাজের কথা? বাঃ, এই ‘কাজের কথা’ শব্দ দুটো বলে তুমি একটা ভাল কথা মনে করিয়ে দিলে…
— কী?
— বলছি…
— বলছি না, আগে বলো। কী বলতে যাচ্ছিলে এক্ষুনি আবার ভুলে যাবে…
— না না, মনে আছে।
— কী?
— আরে, খানিকক্ষণ আগেই ভাবছিলাম, আমাকে বলব এক কাপ চা দেওয়ার কথা। ভুলেই গিয়েছিলাম। ভাগ্যিস মনে করালে, এক কাপ চা দিয়ো তো…
— উফ্, এটা তোমার কাজের কথা? সত্যিই, তোমাকে নিয়ে না…
সে দিন চা খেতে খেতে জবালাকে কথা দিয়েছিলেন ঔপমানব। ঠিক আছে, এ বার থেকে মনে করে মাঝে মাঝেই মোবাইলটা চেক করে দেখে নেব তুমি ফোন করেছ কি না, হয়েছে?
জবালা বেশ কয়েক বার পরীক্ষা করে দেখেছেন, উনি কথা দিলেও কথা রাখেননি। কারণ তার পর, পর পর দু’দিন ওঁর মোবাইলে উনি ফোন করেছিলেন। কিন্তু না, কোনও সা়ড়া পাননি। রিং ব্যাকও করেননি উনি। তাই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। এখন স্কুল থেকে ফিরে স্বামীর মোবাইল নিজেই চেক করে দেখে নেন, কোনও ইমপর্ট্যান্ট কল বা মেসেজ এসেছে কি না। রাতে শোওয়ার আগে নিজেরটা তো বটেই, স্বামীর জি-মেলটাও খুলে দেখে নেন কোনও গুরুত্বপূর্ণ মেল এসেছে কি না…
না, সকাল দশটার আগে জবালা কখনও মোবাইল খোলেন না। ঔপমানবেরটাও না। কিন্তু মোবাইলের যন্ত্রণা আজ বুঝি সবটাই আছড়ে পড়়েছে তাঁদের ল্যান্ড ফোনে। একের পর এক ফোন। প্রথমেই ফোন করেছিল বন্দনা। খুশিতে ডগমগ হয়ে সে বলল, একটা শুভ খবর আছে, সেটা জানানোর জন্যই ফোন করলাম।
জবালা জিজ্ঞেস করলেন, কী?
সে বলল, আমার ছেলে এ বার জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ফার্স্ট হয়েছে।
— ফার্স্ট? সে কী রে, এ তো দারুণ খবর। শুধু মুখে তো হবে না। মিষ্টি কোথায়?
চলবে