সাপ্তাহিক ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ৠক সেন (পর্ব – ১২১)

ফেরা

খানিক পরে ফোনের ভাইব্রেশনে চটকা ভাঙে। ওপরের ঘর থেকে ফোন আসে, কোথায় আমি? চোখ মেলে দেখি, সামনের পাহাড় চুড়োয় সোনা রঙা শেষ বিকেলের রোদ, সোনার আল্পনা আঁকছে।
ঘরে যাই, ফ্রেশ হয়ে জিজ্ঞেস করি, আজ তাহলে হোটেলেই ডিনার বলে দি? আসলে গত রাতের যোগী বৌলের আতঙ্ক কাটেনি।
মেয়েরা রাজি হয় না। গত রাতের ভুল, তারা আজ মুছতে বদ্ধপরিকর। অগত্যা সে রাতেও বাইরেই খাওয়া ঠিক হয়। একটু সন্ধ্যা নামলে বেরোই আমরা।
আজ সযত্নে আগের দিনের ক্যাফে এড়াই। আশে পাশে প্রচুর ক্যাফে, কিন্তু ঢুকতে সাহস হয় না। যদি আগের দিনের মতো কেস খাই? যাইহোক, একটা ক্যাফে তে বেশ ভিড় দেখে ঢুকি, চোখ পড়ে একটা হোর্ডিংয়ে। লেখা, স্পেশাল মেনু, চিকেন এন্ড ভেজ সিজলার।
ঐ ঋক, আমি সিজলার খাবো। কখনো খাইনি। অনির আব্দার।
খাওয়া তো যায়, কিন্তু আবার গতকালের মতো হলে?
সাহস করে অর্ডার দি। আসে, না আজকের দিনে আমরা জিতেছি, দারুন খেতে ছিলো সিজলার টা। অনি তো উচ্ছসিত। ওর দারুণ ভালো লেগেছে। খুশি মনে তিনজনে হোটেলে ফিরি। কাল অনেকটা পথ পেরোনোর আছে।

সম্প্রতি অনি, দুবাইয়ে গিয়ে জীবনে দ্বিতীয় বার সিজলার খেয়েছে। ওখান থেকেই আমাকে মেসেজ করে তা জানিয়েছে, এও জানিয়েছে, সেই প্রথম বার সিজলার খাওয়ার কথা সে ভোলেনি। ভালো লেগেছে খুব ওর কথা শুনে। এতো বছর পেরিয়ে এসেও যে এই সামান্য কথা সে ভোলেনি, এর থেকে ভালো আর কি হতে পারে??

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।