ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন – ১১১

ফেরা

কেলং অতীত হয়ে দাঁড়ায়। গাড়ি চলে আরো চড়াই বেয়ে। যেন কোনো অদ্ভুত রাস্তা দিয়ে চলেছি আমরা। আশেপাশে শুনশান। একটা গাড়ি নেই। তার মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে এগোয় আমাদের গাড়ি।

বেলা তখন দুটো হবে। একটা আর্মি ক্যাম্পের সামনে দাঁড়ায় আমাদের গাড়ি। কর্মা ভাইয়া বলেন, যে যার বাড়িতে ফোন করে নিন। একটা গোটা দিন প্রায় কোনো নেটওয়ার্ক থাকবে না। দৌড়ে গিয়ে নিজেদের আইডি কার্ড জমা দিয়ে ফোন বুথে ঢুকি। যে যার বাড়িতে জানিয়ে দেওয়া হয় কাল আবার এই সময় ফোন করবো আমরা। যেন কেউ চিন্তা না করে। একটু হাঁটাহাঁটি ও করে নেওয়া হয়। আর ঘন্টা দুয়েক পরেই সারচু। আজকের যাত্রার ইতি।
কিন্তু এবার সমস্যা শুরু হয় যতো সারচু এগিয়ে আসে। প্রথমে অনি, তারপর আমি, মাথা ধরতে থাকে। একমাত্র শতাব্দীর কিছু হয়নি। বুঝতে পারি অক্সিজেন কমে আসছে। জলদি ব্যাগ থেকে ডায়ামক্স বের করে মুখে পুরি। একটু বেটার হয়, কিন্তু আবার খানিক পরে চাগাড় দেয়।
কর্মা বোঝেন আমাদের অবস্হা। খানিক পরে আমরা এসে পৌঁছোই একটা ক্যাম্পে। একটা তিন বেডের টেন্ট পেয়ে যাই সাথে সাথেই। চাও দিয়ে যান একজন। গরম চা খেয়েও কোনো উপশম হয় না। দুদিকে দুটো বিছানা পেয়ে আমি আর অনি শুয়ে পড়ি। মনে হয় শরীরে আর কোনো জোর নেই। একমাত্র শতাব্দী বিন্দাস, তার কিছুই হয়নি, বসে বসে ক্যামেরা ঘাঁটে।
দিদি জি!!
কর্মা হাজির। সামনে এক ছোটা লেক হ্যায়, আপলোগ ঘুমন চলেঙ্গে?
ঘুমনে? পাগল না পেট খারাপ। আমি আর অনি বলি সম্ভব নয়। শতাব্দী একাই চলে যায়।
ঋক!!
অনির রিনরিনে গলা।
বল।
তোর বৌ কৈ পালালো। তুই যা।
দুত্তোর! যেখানে গেছে যাক। একটু পরেই ফিরবে।
খানিক পরে দন্ত বিকশিত করে শতাব্দী দেবী ফিরে আসেন।
উফফ যা হেব্বি ছবি তুলেছি না!!

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।