ধারাবাহিক ভ্রমণ সিরিজে শতদ্রু ঋক সেন

ভারত সেবাশ্রম সংঘে গিয়ে একটি কান্ড হলো। বলা ছিলো দুটো রুমের কথা, চিঠি দেখে মহারাজ সিধা পাঠিয়ে দিলেন ডর্মিটরিতে। দলের বাকি কারুর সাথে যোগাযোগ করার রাস্তা তখনও অধরা, আজকের দিন হলে কোনো ব্যপার ছিলোনা। কি আর করা যায়, ওখানেই ব্যাগ রেখে হাত মুখ ধুয়ে নীচে নামলাম, পান্ডা দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাঁর সাথে মন্দির।
ভারত সেবাশ্রম সংঘের লাগোয়া মন্দির। লাইন আছে, তবে খুব বেশী নয়। আধা ঘন্টা মতো দাঁড়ানোর পর, অবশেষে বাবার দর্শন পেলাম। সে যে কি অনুভূতি। গর্ভগৃহের ভিতর এক মায়াময় পরিবেশ, ঘন্টা বাজছে, ধূপ ধুনোর ধোঁয়া, চারিদিকে জয় কেদারনাথ ধ্বনি, আর লিঙ্গ জড়িয়ে ধরে ঠাকুরকে স্পর্শ করে আছি আমি। কতক্ষণ কেটেছে ঠাহর হয়নি। বেশ কিছু পরে পান্ডা ঠাকুরের সহায়তায় পুজো দিলাম। ছোট্ট রুপোর বেলপাতা আর ত্রিশুল নিয়ে গেছিলাম কালীঘাট থেকে কিনে, বাবার চরণে অর্পণ করলাম। আরো খানিকটা সময় ওখানে কাটিয়ে ভারত সেবাশ্রম সংঘে ফিরে বিশ্রাম। দলের বাকিরা এলো আরো ঘন্টা দুই পরে। সবাই আগে দর্শন করে পরে আশ্রয়ে এসেছে, তাই একধারে খুশি, কিন্তু ক্লান্ত। লেপের তলায় ঢুকতে কেউ লেট করলো না।

সন্ধ্যা নামলো। আমরা আরতি দেখতে মন্দিরে গেলাম। বেশ লাগছিল, কিন্তু বাধ সাধলো বৃষ্টি ও ঠান্ডা হাওয়া। সংঘে ফিরে গরম খিচুড়ি, আলু ভাজা ও চাটনি খেয়ে ডর্মের বিছানায় গা এলালাম। আগামী কাল তাড়াতাড়ি ওঠা নেই, এই আনন্দে ঘুমে তলিয়ে যেতে দেরী হলো না।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।